বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী

বুধবার অর্থাৎ ১১এপ্রিল দুর্গাপুরের সেন্ট্রাল মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএমআরআই) এবং বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পর্ষদ (সিএসআইআর)-এর যৌথ উদ্যোগে এক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বৃক্ষরোপন কর্সূচির সূচনা করেন পশ্চিমবঙ্গ ফরেস্ট সার্ভিসের আঞ্চলিক আধিকারিক শ্রী মৃণাল কান্তি মন্ডল এবং সিএমআরআই-এর নির্দেশক অধ্যাপক হরিশ হিরানী। এই উপলক্ষ্যে আমি, পেঁপে, কাঁঠাল, নারকেল ও আমলকি সহ প্রায় দেড়শোটি চারাগাছ রোপন করা হয়। 'পরিচ্ছন্ন ও সবুজায়িত ভারত' উদ্যোগের অঙ্গ হিসেবে দুই প্রতিষ্ঠনের সহযোগিতায় দুর্গাপুরের ক্যাম্পাসে জৈব ফল চাষাবাদ ও বৃক্ষরোপনের উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

   অধ্যাপক হিরানী বলেন, জৈব ফল চাষাবাদ প্রসারে তাঁর প্রতিষ্ঠান অতি ঘনত্ব বিশিষ্ট বৃক্ষরোপন পদ্ধতি ব্যবহার করবে। এই ধরণের পদ্ধতি জৈব চাষাবাদ সংক্রান্ত যে জাতীয় মানক রয়েছে, তার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। তিনি আরও জানান, আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আরও ৫০০টি বৃক্ষরোপণ করা হবে।  পশ্চিমবঙ্গ ফরেস্ট সার্ভিসের বিভাগীয় আধিকারিক শ্রী মন্ডল দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই ধরণের সৃষ্টিশীল উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি জানান, জাতীয় বনাঞ্চল নীতির ক্ষেত্রে এই উদ্যোগের সাদৃশ্য রয়েছে। জাতীয় বনাঞ্চল নীতিতে অরণ্যের পরিধি বাড়িয়ে ৩৩ শতাংশ করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, শ্রী মন্ডল সেকথাও স্মরণ করিয়ে দেন।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চৌরঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মিড ডে মিলের উচ্ছিষ্ট থেকে প্রক্রিয়াকরণ করে জৈব সার তৈরী করে তা দিয়েই স্কুল প্রাঙ্গনে চাষাবাদ করছে। ওই স্কুলের ১৫৬ জন পড়ুয়া স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্য নিয়ে জৈব সার তৈরী করে সম্পূর্ণভাবে ভেষজ পদ্ধতিতে চাষ করছে। এর সঙ্গে সঙ্গে নলকূপ থেকে বেরিয়ে আসা বর্জ্য পদার্থে বাঁধ দিয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির ধানের চাষও করছে তারা। স্কুলের প্রধানশিক্ষক যারপরনাই যথেষ্ট খুশি ছাত্রদের এই উদ্যোগে। পরিবেশ বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ বলেন তিনি। কিভাবে পরিবেশ রক্ষা করা যায়, তার পদ্ধতি বলা হয়েছে ছাত্রদের, পলিথিন সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, সেদিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকদিন মিড ডে মিল রান্নার পর সবজির খোসা, ভাতের ফ্যান পড়ুয়াদের খাবারের অবশিষ্ট তারা সংগ্রহ করে রাখে। তা থেকেই তৈরী হয় সার। তাই দিয়েই চলে কৃষিকাজ। এভাবে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা তা বলাই যায়।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...