ব্যস্ততম কমার্শিয়াল এরিয়া সল্টলেক সেক্টর ৫। কর্ম মুখর অফিস পাড়া বললেও ভুল হয় না। তারই সাথে রয়েছে নানা যানবাহনের নিরন্তর আনাগোনা এই এলাকা জুড়ে। এসব গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমাণ। কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসবার জন্য তাই বৃক্ষ রোপনের উদ্যোগ নিল কর্তৃপক্ষ। একই সাথে বসানো হবে এক ধরনের বিশেষ যন্ত্র যা একই ভাবে বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমিয়ে ফেলার ভূমিকায় থাকবে।
রোজকার যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া এবং বিভিন্ন নির্মাণ কার্যের ফলে সেক্টর ৫ এলাকায় দূষণ এবং ধুলোর পরিমান তুলনামূলক ভাবে বেশি। এই এলাকায় সল্টলেক এবং নিউটাউনের চেয়ে সবুজের সমাহার কম। এমন গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থলের পরিবেশে বিশেষত বাতাসে দূষণ কমিয়ে নিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। সেক্টর ৫ এর ৪৩২ একর এলাকায় বিস্তৃত ১৭ কিলোমিটার রাস্তা। এখানকার দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনবার জন্য জাম, কাঁঠাল, বেল সহ অন্যান্য ধরণের গাছ রোপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও দূষণ রোধে বিশেষ যন্ত্রও স্থাপন করা হবে যা ৬০ মিটার জায়গা জুড়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মোনো-অক্সাইড শুষে নেবার জন্য সক্ষম হবে।
বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নেওয়ায় গাছের অবদান অনস্বীকার্য। পরিবেশবিদরাও দূষণ নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষরোপন কে সবচেয়ে প্রাধান্য দেন। দিল্লিতে ইতিমধ্যে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এর পরিমান নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘উইন্ড অগমেন্টেশন পিউরিফিকেশন সিস্টেম' চালু করা হয়েছে। কলকাতাও সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে চলেছে এবার। এয়ার পিউরিফিকেশন মেশিন বাতাসে দূষণ কমিয়ে আনার সাথে সাথে দূষণের পরিমান পরিমাপ করতে পারবে। তবে যন্ত্রের পাশাপাশি বৃক্ষ রোপনের পরিমান বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। কারণ অক্সিজেন এর পরিমান বাড়িয়ে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করতেও গাছের কোন জুড়ি নেই।