চারদিকে দূষণের মাত্রা এত বেড়ে গিয়েছে, যে বিভিন্ন প্রকল্প ঘোষণা করে দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার জোর প্রচেষ্টা চলছে। শনিবার মধ্যমগ্রামের সুভাষ ময়দানে 'পরিবেশ সচেতনতা মেলা'-র উদ্বোধন করতে এসে পরিবেশমন্ত্রী জানালেন, এখন থেকে দু'লক্ষ বর্গফুট বা তার বেশি এলাকাজুড়ে আবাসন প্রকল্পে এক তৃতীয়াংশ গাছ লাগাতেই হবে। দুই তৃতীয়াংশে করা যাবে নির্মাণকাজ। এই নিয়ম মানা হয়েছে কি না দেখে তবেই প্রকল্পের ছাড়পত্র দেবে পরিবেশ দফতর। পাশাপাশি সব প্রকল্পে এই নিয়ম মানা হচ্ছে কি না তা নজরে রাখতে সমস্ত পুরসভাগুলিকেও সজাগ থাকার নির্দেশ দেন তিনি। যে কোনও রিয়েল এস্টেট তা সরকারিই হোক বা বেসরকারি, সরকরি পরিবেশ দফতরের ছাড়পত্র পেতে বাধ্যতামূলকভাবে দুটি নিয়ম মানতেই হবে। একটি হল, রেইন্ ওয়াটার হার্ভেস্টিং এবং অপরটি হল বৃক্ষরোপন। দু'লক্ষ বর্গফুটের কম এলাকায় আবাসন তৈরী হলে পুরসভা ছাড়পত্র দেয়। সেক্ষেত্রে পুরসভাকেও ওই নির্দেশ মানার কথা বলেছেন তিনি। প্রয়োজনে ডিপিআর অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না তা সরেজমিনে দেখে আসতেও বলেন তিনি।
এদিন তিনি আরও বলেন, শহরে দূষণের অন্যতম কারন হল পরিবহন। তাই পরিবহন দফতরেও বেশ কিছু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও বৃহত্তর কলকাতায় আগামী জানুয়ারি মাস থেকেই ইলেকট্রিক বাস চালু করা হবে। শহরে ১৫টি জায়গায় চার্জিং ষ্টেশন বসানো হবে। সেখান থেকে শুধু সরকারি বাস-ই নয়, প্রাইভেট বিদ্যুৎচালিত গাড়িও চার্জ দিতে পারবে। ১৫ বছর উত্তীর্ণ মেয়াদের বাণিজ্যিক গাড়ি কেএমডিএ এলাকায় চলার বিষয়েও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। সারা বিশ্ব জুড়ে দূষণের জেরে যে উদ্বেগ তৈরী হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই তার আঁচ এসে পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। তাই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি স্তরে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ওপর যথেষ্ট জোর দেওয়া হচ্ছে।