ক্যান্সার এমন একটি মারণ রোগ যার থাবা থেকে বাঁচা খুবই কষ্টকর ব্যাপার। প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়লেও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসা কখনোই সম্ভব হয় না। আপাত দৃষ্টিতে একজন মানুষকে সুস্থ মনে হলেও কিছু বছর পরে আবার সেই রোগকে হানা দিতে দেখা যায়। অনেকদিন ধরেই চিকিৎসকেরা এই রোগ নিয়ে নানা গবেষণা করে চলেছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ক্যান্সারের সঠিক ওষুধ আবিষ্কার করা যায়নি। বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে যে আবিষ্কৃত হয়েছে ক্যান্সারের টিকা কিন্তু তার সত্যতা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে চিকিৎসকদের মনে।
সম্প্রতি ইতালির একজন বিজ্ঞানী চিকিৎসক তুলিও সিমোনসিনি দাবি জানিয়েছেন যে, ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টে প্রভূত সাহায্য করছে রান্নাঘরের সাধারণ সামগ্রী বেকিং সোডা। রান্নাঘরে খুব সহজেই পাওয়া যায় বেকিং সোডা।স্বাস্থ্যগুণের জন্য বহুদিন ধরেই চিকিৎসকদের পছন্দের হোম রেমিডির তালিকায় প্রথম দিকেই রয়েছে কেক বানানোর মূল উপকরণ বেকিং সোডা। স্নায়ুরোগ থেকে শুরু করে হার্টের রোগ এমনকি গ্যাসের সমস্যা সবকিছুতেই মহৌষধির মতো কাজ করছে বেকিং সোডা। সম্প্রতি ইতালির তুলিও সিমোনসিনির দাবি অনুযায়ী ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও সাহায্য করেছে বেকিং সোডা। তার লেখা 'ক্যান্সার ইজ এ ফাঙ্গাস: এ রেভোলিউশন ইন টিউমার থেরাপি' নামক বইতে ক্যান্সার চিকিৎসায় বেকিং সোডার ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে লিখেছেন।
বিজ্ঞানীর দাবি, ক্যান্সার সাধারণত বাকি ফুসকুড়ির মতোই হয়ে থাকে যা বেকিং সোডার ব্যবহারে নিরাময় হতে পারে। এছাড়া শরীর থেকে দূষিত বর্জ্য পদার্থ দূর করার ক্ষেত্রেও বেকিং সোডার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। বাকি চিকিৎসকেরাও সহমত এই ব্যাপারে। শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে বেকিং সোডার থেকে ভালো আর কিছু নেই। রোজ দিনে দুইবার করে এক গ্লাস জলে বেকিং সোডা গুলিয়ে খেলে সারাদিন ঝরঝরে থাকে শরীর। তবে সারাদিনের মধ্যে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং ঘুমাতে যাওয়ার আগের এই দুটি সময়কেই বেঁচে নিতে বলছেন চিকিৎসকেরা। শুধু তাই নয়, প্রদাহজনিত এলাকায় বেকিং সোডা ঘষে নিলে জ্বালাভাব কমে যায়। বেকিং সোডা যেহেতু শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে তাই এর সাহায্যে অনেকধরণের রোগ সরানো সম্ভব।