পিজি হাসপাতালে জরুরি অবস্থা সামলাতে খোলা হচ্ছে ট্রমা কেয়ার ইউনিট। জরুরি অবস্থায় রোগী বা আহতদের তৎক্ষণাৎ সঠিক সেবা দেবার উদ্দেশ্যেই পিজিতে ট্রমা কেয়ার ইউনিট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এস এস কে এম -এর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন চলতি মাসেই ট্রমা কেয়ার ইউনিটটি চালু করা হবে। গুরুতর আহত অবস্থায় ইমার্জেন্সি ইউনিটে ভর্তি হয়েও সঠিক চিকিৎসা পাওয়া নিশ্চিত করা যায় না সবসময়। সেই ভোগান্তির ইতি ঘটবে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আসন্ন নির্বাচনের আগেই অত্যাধুনিক সেবার সুবিধা নিয়ে চালু হবে ট্রমা কেয়ার ইউনিট। বিপদকালীন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে এই ইউনিট স্থাপনের প্রস্তুতি চলছে রাজ্যের প্রধান সরকারি হাসপাতালে। সংশ্লিষ্ট অধিকর্তা মনিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানান এ মাসেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।
ট্রমা কেয়ার ইউনিট এর সামগ্ৰিক চিত্র তুলে ধরতে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কেয়ার ভবনের একতলায় চোট পাওয়া রোগীদের জন্য থাকছে ডেডিকেটেড জরুরি বিভাগ। ট্রমা রোগীদের জন্য তিন ভাগে বিভক্ত করা থাকবে বাকি ফ্লোর গুলি। তাৎক্ষণিক সঙ্কট পূরণ মুহূর্তে চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীকে 'রেড জোন' -এ ভর্তি করা হবে। ভর্তির ২৪ ঘন্টার ভিতর উপযুক্ত ক্রিটিকাল কেয়ারে স্থানান্তরিত করা হবে।
অপেক্ষাকৃত কম চোট পেয়েছেন এমন রোগীকে ভর্তি করে নেওয়া হবে 'ইয়েলো জোন'-এ। যে সমস্ত রোগীদের অপেক্ষাকৃত কম সময়ের পর্যবেক্ষন প্রয়োজন তাদের এডমিশন হবে এই বিভাগে। তৃতীয়ত 'গ্রিন জোন'-এ ভর্তি করা হবে একদম প্রাথমিক পর্যায়ে চোট পেয়েছেন এমন পেশেন্টকে যাদের চিকিৎসা দিয়েই ছেড়ে দেওয়া যাবে। এই সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা শুরু করতে এই মাসেই প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন ৩ জন চিকিৎসক, ৫ জন নার্সিং কর্মী ও প্রশাসনিক দিক সামলাতে একজন কর্মকর্তা।
শুরুতেই সম্পূর্ণ ট্রমা কেয়ার ইউনিটটি করছেন না আই পি জি এম ই আর। প্রয়োজনের তুলনায় কম সংখ্যক নার্সিং কর্মী পাওয়ার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বর্তমানে ৬৫ জন নার্সিং কর্মীর ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ৯ ফ্লোরের একটি অপারেশন থিয়েটার, ২৪ বেডের একটি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং এক স্টেপ ডাউন ওয়ার্ড নিয়েই প্রাথমিক ভাবে শুরু হতে চলেছে ট্রমা কেয়ার ইউনিটটি।