এবারে পুজোয় কোথায় ঘুরতে যাবেন ভাবছেন? সমুদ্র নাকি পাহাড়? পাহাড় যদি হয়, তাহলে এই নিবন্ধটি রইল আপনার জন্যে। পঞ্চমীর দিন অর্থাৎ ৮ অক্টোবরের সংরক্ষিত টিকিট দেওয়া শুরু হল সোমবার থেকে। এদিন কাউন্টার খুলতে না খুলতেই খুলতেই এনজেপিগামী সব ট্রেনেরই টিকিটই চলে যায় ওয়েটিং লিস্টের তালিকায়। কিন্তু সেই তালিকায় নেই বন্দে ভারত ট্রেন। পঞ্চমীর দিনের চেয়ারকার ও এক্সিকিউটিভ ক্লাসের টিকিট শেষ বেলায়ও বেশ খালির দিকে রয়েছে এই ট্রেনগুলি।
তাহলে কী ভাবছেন?
এখনও ট্রেন বুক না করে থাকলে, আজই পরিকল্পনা করে কেটে ফেলুন টিকিট। আর চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন ট্রেন কিরকম পরিস্থিতিতে রয়েছে।
জানা গিয়েছে দার্জিলিং, কামরূপ, সরাইঘাট, তিস্তা- তোর্ষা ও উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসের টিকিট কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওয়েটিং লিস্টে চলে যায়। এই ট্রেনগুলিতে থ্রি-এসিতে ওয়েটিং লিস্টে যথক্রমে ১৮২, ৪৯, ৯, ১৩, উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে নোরুম হয়ে যায়। এছাড়া ওই ট্রেনগুলিতে স্লিপারের ওয়েটিং লিস্টের তালিকা ১২৮, ৭৫, ২১, ৪৩, ৬৫-তে চলে যায়। এদিনের তালিকায় কাশ্মীরগামী ট্রেনগুলিতেও চাহিদা বেশ ভাল রকম ছিল।
এছাড়া ওই দিনে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে পঞ্চমীর দিন থ্রি-এসিতে ওয়েটিং ৪৯, স্লিপার আরএসি ৭৩, হিমগিরিতেথ্রি-এতে ওয়েটিং লিস্টেড ১২০তে গিয়ে দাঁড়ায়। হরিদ্বারগামী ট্রেনেও চাহিদা রয়েছে। দুন ও উপাসনা এক্সপ্রেসে পঞ্চমীর দিন থ্রি-এতে ওয়েটিং ৫৬ ও ১৬১ তে দাঁড়ায়। স্লিপারেও ওয়েটিং গিয়ে পৌঁছোয়।
তবে, সমুদ্র এখনও পর্যন্ত টানতে পারেন নিই পর্যটকদের। দেখা গিয়েছে পুরী এক্সপ্রেসে পঞ্চমীর দিনে সামান্য ওয়েটিং হলেও স্লিপারের টিকিট সারাদিনই পাওয়া গিয়েছে। তবে এদিনের টিকিটে বন্দে ভারত ও শতাব্দীতে সব ক্লাসেই রয়েছে। এছাড়া ওই দিনে বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেসে প্রতিটি ক্লাসেই টিকিটের চাহিদা কম রয়েছে।
এক যাত্রী প্রদীপ দাস জানিয়েছেন সামনে থেকেও ওয়েটিং লিস্টের টিকিট কাটতে হল। পুজোর সময় তা কনফার্ম হবে বলে মনে হচ্ছে না তিনি। তবুও আশা নিয়ে ওয়েটিংয়ে থাকা টিকিট কেটে নিয়ে যান। তবে এখন ই-টিকিটের দিকেই মানুষের ঝোঁক রয়েছে। ফলে সংরক্ষিত টিকিট কাউন্টারে ভিড় কমছে।