সারা দেশের বিভিন্ন হেরিটেজ রুটে পর্যায়ক্রমে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষে এই ট্রেনের সূত্রপাত হবে। মূলত বায়ু দূষণ প্রতিরোধের কারণেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রেল। পরিকল্পনা সফল হলে জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন এবং চিনের পরে পঞ্চম দেশ হিসেবে ভারত এ গৌরব অর্জন করবে।
১। হেরিটেজ রুটে হাইড্রোজেন চালিত ট্রেন চলবে
২। মূলত বায়ু দূষণ প্রতিরোধের কারণেই এই পদক্ষেপ
৩। প্রথম ধাপে ৩৫টি ট্রেন তৈরি করবে সংস্থা
পাহাড় সাধারণ মানুষের এক আবেগের জায়গা। মন কেমন হোক বা মন ভালো, ছুটি পেলেই আমাদের পাহাড়ে ঘুরতে যেতে ইচ্ছা করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে, বায়ু দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর, আর তার প্রভাব পড়ছে পাহাড়েও। তাই সেখানের মুগ্ধকর পরিবেশকে বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে এবার ট্রয়ট্রেনকে আরও পরিবেশবান্ধব করে তোলার প্রচেষ্টা চালিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলগাড়ির ধোঁয়া দূষণ থেকে মুক্তি পেতেই দেশের ঐতিহ্যশালী রেলপথে স্টিম বা ডিজ়েল ইঞ্জিনের বদলে এ বার হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের সূচনা ঘটছে।
এই উদ্যোগের প্রথম ধাপে ৩৫টি ট্রেন তৈরি করবে সংস্থা। পরবর্তীকালে ২০৪৭ সালের মধ্যে নয়া প্রযুক্তিতে সারা দেশে ৫০টি ট্রেন চালাবে তারা। ডিসেম্বরে জার্মানির একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থা হাইড্রোজেন চালিত ট্রেনের প্রযুক্তিগত নানা দিক এবং সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখবে, এবং তারপরই এই ট্রেন তৈরির কাজ শুরু করবে কর্তৃপক্ষ।
মূলত ফুয়েল সেল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতে এই প্রযুক্তির রেল ইঞ্জিন তৈরি করা হচ্ছে। এক একটি ট্রেন নির্মাণের জন্য খরচ হবে ৮০ কোটি টাকা । এছাড়াও ট্রেন মেরামতির জন্য পাঁচটি টাওয়ার ভ্যান তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রতিটি নির্মাণে ১০ কোটি টাকা করে খরচ হবে ও রুট পিছু, বিভিন্ন পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য আরও ৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। তবে নিত্য হাইড্রোজেনের জোগান দিতে ঝিন্দে একটি জ্বালানি উৎপাদন কেন্দ্রও তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে দৈনিক ৪৩২ কেজি গ্যাস তৈরি এবং ৩০০০ কেজি গ্যাস সঞ্চয় করা যাবে।
এই ট্রেনগুলো চলবে মূলত হেরিটেজ রুটে। তার মধ্যে রয়েছে হিমাচলের সিমলা বা কাংড়া উপত্যকা, মহারাষ্ট্রের মাথেরন বা দক্ষিণের নীলগিরি পাহাড়।