নতুন বছরের শুরুতে পুরনো বছরের বক্স অফিস রেকর্ড দেখলে ওয়ার সিনেমাকে এগিয়ে রাখতে হবে। দেখে নেওয়া যাক ওয়ার ছাড়াও কোন কোন ছবিগুলি বানিজ্যিক ভাবে সফল এই বছরে।
প্রথমেই আসবে হৃত্বিক রোশন এবং টাইগার শ্রফ অভিনীত এই বছরের সফলতম ছবি ওয়ার। যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই ছবি প্রায় ৪৭৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বক্সঅফিসে।
এরপরেই আসবে প্রভাস এবং শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত ছবি সাহোর কথা। এই ছবিটিও প্রায় ৪৩৩ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই বছর।
এই বছর বাজিমাত করেছেন শাহিদ কাপুর। তাঁর অভিনীত কবীর সিং এই বছর বক্সঅফিসে প্রায় ৩৭৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
এরপরেই আসবে উরি দ্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এর কথা। এই ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন ভিকি কৌশল। এই ছবিটি মোট ৩৪২ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বক্সঅফিসে।
সলমন খানের সিনেমা বক্সঅফিস তালিকায় থাকবে না সেটা সম্ভব নয়। সলমন-ক্যাটরিনা অভিনীত ভারত এই বছর ৩২৬ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
অক্ষয় কুমারের সিনেমা এখন বানিজ্যিক ভাবে সফল। অক্ষয়, তাপসী, বিদ্যা বালান অভিনীত মিশন মঙ্গল বক্স অফিসে সফল। এই সিনেমা প্রায় ২৯০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই বছর।
অক্ষয় কুমারের সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি হাউজফুল এর নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হয়েছিল এই বছর। এই সিনেমাটিও প্রায় ২৭৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বক্সঅফিসে।
অস্কার এর জন্য পাঠানো হয়েছিল জোয়া আখতার এর সিনেমা গালি বয়কে। রনবীর সিং, আলিয়া ভাট অভিনীত এই ছবি প্রায় ২৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে বক্সঅফিসে।
ধামাল এর নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টোটাল ধামাল দর্শকমনে ভালই ছাপ ফেলেছে। অনিল কাপুর- মাধুরী দীক্ষিত এর এই সিনেমা প্রায় ২২৮ কোটির ব্যবসা করেছে এই বছর।
হৃত্বিক রোশনের এই বছর নতুন করে ফিরে পাওয়ার বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। হৃত্বিক অভিনীত সুপার থার্টি প্রায় ২০৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই বছর।
এই ছবিগুলি ছাড়াও আয়ুস্মান খুরানার বালা প্রায় ১৪৭ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। অমিতাভ- তাপসী অভিনীত বদলা প্রায় ১৩৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। এছাড়াও লুকা ছুপি, ড্রিম গার্ল, কেশরী, এই ছবিগুলিও বানিজ্যিকভাবে সফল এই বছর। বছরের শেষে দাবাং থ্রি নিয়ে এসে বক্স অফিস রাজত্ব করছে সলমন খান। এই ছবিটি ইতিমধ্যেই ১৮০ কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে বক্সঅফিসে।