Buddhist Temples of Kolkata: কলকাতার বৌদ্ধ উপাসনালয়ের ইতিহাস

আজ বুদ্ধপূর্ণিমা, ৫৬৩ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে নেপালের লুম্বিনীতে জন্মগ্রহণ করেন গৌতম বুদ্ধ। সেদিন ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা। বৈশাখী পূর্ণিমার দিনই বোধি অর্থাৎ সিদ্ধিলাভ করেছিলেন বুদ্ধদেব। বস্তুত বুদ্ধের জন্মতিথি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্রতম উত্‍সব। গৌতম হলেন বিষ্ণুর নবম অবতার।

গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন ভারত ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটানে ধুমধাম করে পালন করা হয়। কলকাতা শহরের বুকে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র বৌদ্ধ আরাধনাস্থল। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতাজুড়ে রয়েছে বৌদ্ধ উপাসনালয়।

Kolkata Boudha Temple

সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে রয়েছে বৌদ্ধ মন্দির, যা একদা বার্মা বৌদ্ধ ধর্মশালা নামে পরিচিত ছিল। মন্দিরটি ১৯২৮ সালে তৈরি হয়েছিল। বুদ্ধর মূর্তিটি একেবারেই আলাদা। এমন মূর্তি গোটা বিশ মাত্র পাঁচটি রয়েছে। একটি রয়েছে কলকাতার, বাকি চারটে মায়ানমারে। কলেজ স্ট্রিটে রয়েছে মহাবোধি সোসাইটি, শ্রীধর্মরাজিকা চৈত্য বিহার। কলেজ স্কোয়ারের কাছেই রয়েছে বৌদ্ধ বিহার। ১৯১৮ সালে সিংহলী বৌদ্ধ সন্ন্যাসী অনাগরিকা ধর্মপাল বৌদ্ধ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। বৌদ্ধ বিহার স্তূপের ভিতরে রাখা আছে ভট্টিপ্রলুতে সম্রাট অশোকের স্তূপ থেকে পাওয়া গৌতম বুদ্ধের অস্থি। রয়েছে গৌতম বুদ্ধের দাঁত। মধ্য কলকাতার বো ব্যারাকে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা। ১৮৯২ সালে বেঙ্গল বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশন বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এখানে সোনার তৈরি বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতায় রয়েছে, নিপ্পনজান মায়োহোজি। রবীন্দ্র সরোবরের কাছেই রয়েছে জাপানি বুদ্ধ মন্দিরটি। ১৯৩১ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বৌদ্ধধর্মের নিপ্পনজান মায়োহোজি। মন্দিরের স্থাপত্যে জাপানি সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে মার্বেলের তৈরি বুদ্ধের মূর্তি রয়েছে।

বালিগঞ্জের পদ্মপুকুর এলাকায় রয়েছে বৌদ্ধ মন্দির। তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মন্দিরে। বৌদ্ধ ভিক্ষু আক্কা দর্জি ১৯৩০ সালে দার্জিলিং থেকে কলকাতায় এসে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। তখন মঠের নাম ছিল হিমালয়ান বুদ্ধিস্ট গম্বা। মঠের নাম পরিবর্তিত হয় কলকাতা কর্ম গন মঠ।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...