বিচিত্র প্রেমের গল্প বলবে ‘ছবিয়াল’। ইন্দ্রনীল বক্সীর কাহিনি অবলম্বনে পরিচালক মানস বসু বানাচ্ছেন এই ছবি। ছবির মুখ্য চরিত্রের নাম হাবল। সে পেশায় একজন স্থির চিত্রগ্রাহক বা স্টিল ফোটোগ্রাফার। বন্ধুবান্ধবময় তার জীবন। সে অবিবাহিত। ছবি তুলে যতটুকু আয় হয় তা বন্ধুবান্ধবদের জন্যই খরচ করে। প্রেম তার বন্ধুময় জীবনকে টলাতে পারেনি যৌবনের অনেকটা সময়। কিন্তু প্রেম আসে অবশেষে। সেই কথা অবশ্য সে খুব সূক্ষ্মভাবে গোপন করে তার বন্ধুদের কাছ থেকে। তার প্রেমের নাম লাবণ্য। লাবণ্য এক জমিদার গিন্নি। এক অবিবাহিত পুরুষ যখন কোনও বিবাহিত মহিলার প্রেমে পড়ে তখন পরিস্থিতি তো খুব একটা সহজ থাকে না, বরং ভরে ওঠে জটিলতায়। কেমন সেই জটিলতা? সেটাই জানা যাবে এই ছবিতে। ছবির গল্প নিয়ে এর থেকে বেশি কিছু এখনই বলতে নারাজ মানস বসু।
হাবলের ভূমিকায় থাকছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, লাবণ্যর ভূমিকায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলিতে অভিনয় করছেন জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, সামিউল আলম, অমিতাভ ভট্টাচার্য, মল্লিকা সেনগুপ্ত সহ আরও অনেকে। জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এখানে এক চা বিক্রেতার ভূমিকায় দেখা যাবে। নাম তার সুগনা। হাবলের বন্ধু সে। বাকিদের চরিত্রের নাম এখনই খোলসা করতে নারাজ পরিচালক।
সিনেমাটোগ্রাফারের দায়িত্ব সামলেছেন অভিজিৎ নন্দী। ছবির সঙ্গীত পরিচালক মেঘ বন্ধ্যোপাধ্যায়। গানগুলি গেয়েছেন রুপঙ্কর, সুজয় ভৌমিক। গান লিখেছেন সামিম। চলতি বছরের শেষে ডিসেম্বরে ছবিটি দর্শক দরবারে আসবে বলে আশাবাদী মানস বসু।
ছবি প্রসঙ্গে মানস বসু জানান- “প্রেম তো হীরে, তাই হাবল তার জীবনে লাবণ্য নামক হীরেটিকে সকলের কাছ থেকে আড়াল করে। কিন্তু সত্য তো বেশিদিন গোপন থাকে না। তা সকলের সামনে আসতে বাধ্য। আর সামনে আসার পর কী কী ঘটে তা জানার জন্য দেখতে হবে ‘ছবিয়াল’।”
দর্শক এই ছবির হাত ধরে নতুন একটি জুটিকে পেতে চলেছেন। জুটির নাম শাশ্বত-শ্রাবন্তী।