হরেক রকমের উদ্যোগের পাশাপাশি জি বাংলার আরেক উদ্যোগ- 'সা রে গা মা পা অরিজিনালস'। এই প্রথম কোনও রিয়ালিটি শো-এর জন্য তৈরি হল অরিজিনালস। দ্বিতীয় গানের শুটিং-এ হাজির হয়েছিল জিয়ো বাংলা। গান লিখেছেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়। সুর দিয়েছেন শান্তনু মৈত্র।
আর এই গান নিছকই গান নয়। এসিড আক্রান্ত মহিলাদের আগামী দিনের জন্য উজ্জীবিত করতে জি বাংলার এই নিবেদন।
গানটি গেয়েছেন সারেগামাপা'র প্রতিযোগী নোবেল। শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ও শান্তনু মৈত্র সুরারোপিত 'আগুন পাখি' শিরোনামের গানটি গাওয়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছেন বলে জানিয়েছেন নোবেল।
প্রতিযোগিতায় এখন চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। আর সেই লড়াই কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে প্রতিদিন। সকলেই এক সে বড় কর এক। তাই বিচারের কাজটা প্রতিদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শ্রীকান্ত আচার্য।
এসিড আক্রান্ত মানুষদের উদ্দেশ্যে শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান- "যারা এই পরিস্থিতির শিকার তাদের কষ্ট তারা ছাড়া ভাল কেউ জানে না। সেই কষ্ট অনুভব করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবু যেটুকু অনুভব করতে পেরেছি তা দিয়েই গান বেঁধেছি 'আগুন পাখি'। দারুণ সুর দিয়েছেন শান্তনু। আশাকরি ভাল লাগবে সকলের। গানের মাধ্যমে ওই মানুষগুলির কষ্ট একটু হলেও অনুধাবন করতে পারবে বলে মনে হয় আমার।"
শান্তনু মৈত্র জানান-"জি বাংলার এই নতুন উদ্যোগ এক সামাজিক কাজও বটে। শ্রীজাতর লেখাও একইভাবে মর্মস্পর্শী। নোবেলের গায়কী নিয়ে নতুন কিছু বলার নেই। আসলে এখানে যারা গান গাইছে তারা প্রত্যেকেই আগামী দিনের সম্পদ। ওরাই আমাদের উত্তরসূরি।"
এই পর্বের শুটিং-এ হাজির ছিলেন দুজন এসিড আক্রান্ত লড়াকু মহিলাও। তাদের জন্য জি বাংলার এই সাধু উদ্যোগে আপ্লুত তারাও।