চন্দ্রযান ৩ অভিযানে জলপাইগুড়ি কলেজের ৬ ছাত্র, উচ্ছ্বাস গোটা শহরজুড়ে

২৩ আগস্ট বুধবার সন্ধে ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল অবতরণ করে ল্যান্ডার বিক্রম। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবেই চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করল ভারত। টেলিভিশনের পর্দায় সেই দৃশ্য দেখে গর্বিত ভারতবাসী। ঠিক তেমনই আনন্দের জোয়ার বয়ে চলেছে জলপাইগুড়ি শহরে, বিশেষ করে জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ চত্বরে। কারণ, চন্দ্রযান-৩ মিশনের জয়ের কারিগরদের মধ্যেই অন্যতম সদস্য কৌশিক নাগ, ২০১৫ সালে এই জলপাইগুড়ি গভর্মেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করে ২০১৮ সালে দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় যোগ দেন।

Jalpaiguri-Chandrayaan-3_11zon

এ ছাড়াও কলেজের আরও পাঁচ ছাত্র যুক্ত ছিলেন এই চন্দ্রযান- ৩ অভিযানে। তাঁরা হলেন নিরঞ্জন কুমার, সঞ্জয় দলুই, অমরনাথ নন্দী, সৌমিক সরখেল, মুকুন্দ কুমার ঠাকুর।

এই খুশিতে বৃহস্পতিবার কৌশিক নাগসহ আর ৫ ছাত্রের সাফল্যের খুশিতে কলেজ ক্যাম্পাস-সহ এলাকায় ২ হাজার লাড্ডু বিতরণ চলেছে। সেই দিন কলেজ কর্তৃপক্ষকে সংবর্ধনা জানাতে লায়ন্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি জেনেসিস-এর সদস্যরা ফুল মিষ্টি নিয়ে যায়।

এই প্রসঙ্গে লায়ন্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ির পক্ষে বিনীত খড়িয়া জানিয়েছেন, “যে কলেজ থেকে পড়াশোনা করে কৌশিক এত বড় কার্যসিদ্ধি করল সেই কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপকদের মিষ্টি মুখ করিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।“ 

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম আদর্শ এবং প্রাচীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ অমিতাভ রায় জানিয়েছেন, “মিশন চন্দ্রযানে কৌশিক সহ আমাদের কলেজের ছয় ছাত্রের সাফল্যে আমরা গর্বিত। বর্তমান ছাত্রদের আমরা তাদের সাফল্যের কথা জানাতে শুরু করেছি।“ তিনি আরও জানিয়েছেন, “এটা কারও একার সাফল্য নয়, কলেজের সমস্ত স্টেক হোল্ডাররাই সমান ভাবে যুক্ত এই সাফ‍ল‍্যের পিছনে। আমরা গর্বিত আমাদের ছাত্রদের জন‍্য। “

কৌশিক নাগের এই সাফল্য এবং তাঁর মাস্টারমশাইদের সেই দেখে আনন্দ, গর্বিত তাঁর মা সোনালিদেবী। তিনি জানিয়েছেন, “খুব ভাল লাগছে। কলেজের প্রিন্সিপাল এসেছিলেন। আমি চাই সব ছাত্রই যেন এভাবে এগিয়ে গিয়ে কলেজের মুখ উজ্জ্বল করে।”

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...