শরীরের বেড়ে চলা মেদের কারণে চিন্তিত? ডায়েট করে, জিমে গিয়েও ঝরানো যাচ্ছে না অবাঞ্চিত মেদকে? চিকিত্সকের কাছে গিয়ে ওষুধ খাওয়ার আগে কখনো ভেবে দেখেছেন খাওয়ার সময়ের হেরফেরের কারণেও শরীরে যেমন থাবা বসাতে পারে নানা রোগ সেইরকমই শরীরে জমতে পারে অতিরিক্ত মেদও|
আমেরিকার ভ্যান্ডেরবিল্ট ইউনিভার্সিটির কেভিন কেলি, ওয়েন ম্যাকগিনিস, কার্ল জনসন এবং তার সহকর্মীদের মিলিত গবেষণার দ্বারা জানা গেছে, ওজন বৃদ্ধি এবং সেই বৃদ্ধি পাওয়া ওজন হ্রাস করার জন্য মূলত যে বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা উচিত তা হলো কোন ধরনের খাবার খাওয়া হচ্ছে| তারসাথে খাবারের পরিমাণ এবং খাবার খাওয়ার পর কতটা এক্সারসাইজ করা হচ্ছে এইগুলির উপরেও মেদের বৃদ্ধি নির্ভর করে| পিএলওএস বায়োলজি নামক একটি বিজ্ঞান জার্নালে সম্প্রতি এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে| সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন প্রাণীর শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক এবং ঘুমের পরিমাণ ঠিক করে তার আগে খাওয়া খাবারটি কিভাবে হজম হবে| বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দিন ও রাতের তফাতের কারণেও খবর হজমে এফেক্ট পড়ে| এই গবেষণাটির তথ্য প্রকাশের আগে তারা একটি পরীক্ষা করেন| এই পরীক্ষার জন্য তারা বেছে নেন বেশ কিছু মধ্য বয়স্ক থেকে শুরু করে বয়স্ক মানুষকে| ৫৬ ঘণ্টা ধরে তাদের উপরে একটি পরীক্ষা চলে| বিজ্ঞানীরা এই পরীক্ষার নাম দিয়েছেন এলোমেলো ক্রসওভার| এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের ডিনার ও লাঞ্চ একসাথেই দেওয়া হয়| এর পাশাপাশি সকাল ৮টার সময় ব্রেকফাস্টও দেওয়া হয়| অন্যক্ষেত্রে, একটি সমান পুষ্টিকর খাবারকে রাত ১০টার সময় দেওয়া হয়| দুটি পরীক্ষার ক্ষেত্রেই সারারাত উপসে রাখা হয়েছিল তাদের| এই পরীক্ষার পর দেখা গেছে, কতটা পরিমাণ খাবার খাওয়া হচ্ছে তাই নয় বরং একটা মানুষকে প্রতিদিন ঠিক কোন সময়ে খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং তার সাথে স্লীপ কন্ট্রোল মেটাবলিজম-এই দুইয়ের মিশেলই শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করছে| এই গবেষণা থেকে সর্বশেষ যে তথ্য বিজ্ঞানীরা সামনে এনেছেন তা হলো, সান্ধ্যকালীন খবর এবং ব্রেকফাস্টের মধ্যবর্তী সময়ে উপবাস ওজন হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে|