বাইরের খাবার বা বাড়ির রান্না করা খাবার নিয়ে পাইলটদের এয়ারক্রাফটে ঢোকা বন্ধ করে দিতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থা। দু’দিন আগে কেবিন ক্রু মেম্বার এবং পাইলটের মধ্যে টিফিনবক্স ধোয়া নিয়ে ঝামেলার জেরেই এই পদক্ষেপ নিতে চলেছে সংস্থা।
এয়ার ইন্ডিয়া সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সোমবারের ঘটনার জেরে সংস্থা বিমানকর্মী ও চালকদের খাবার আনা বন্ধ করছে করা হতে পারে। খুব তাড়াতাড়ি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”
পাশাপাশি কেবিন ক্রুদের বারবার ককপিটে যাওয়াতেও রাশ লাগানো হতে পারে। সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেবিন ক্রু’দের কাজ বিমানের যাত্রীদের সুরক্ষা নিরাপত্তা দেখা। তারা কখনই পাইলেটদের ব্যক্তিগত কর্মচারী নয়।
গত সোমবার বেঙ্গালুরু এয়ারপোর্টে এয়ার ইন্ডিয়ার এক পাইলট আর ক্রুর ঝগড়ায় আটকে যায় বিমান। বিমান ছাড়ার আগে যাত্রীদের সামনেই তুমুল বাদানুবাদে দু’জনে। নেপথ্যে টিফিনবক্স।
বিমানের ওই ক্রু সদস্য অভিযোগ করেন, বিমান ছাড়ার আগে টিফিন খাওয়ার পর প্লেনের পাইলট তাঁকে টিফিন বক্স ধুয়ে দিতে বলেন। বিষয়টি ভাল লাগেনি তাঁর। যথেষ্ট অপমানজনক বলে মনে হয়। তার জেরেই তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। সেই তর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে আটকে যায় বিমান।
বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী এআই-৭২২ আকাশ ছোঁয়ার আগেই এই ঘটনা ঘটে। নির্ধারিত সময় ছিল ১১.৪০। প্রায় দুঘণ্টা পর অবশেষে রানওয়ে ছাড়ে বিমানটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্তে বসেছে বিশেষ কমিটি। এবং ঘটনার রিপোর্ট ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনকে পাঠিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। ঘটনার কেন্দ্রে থাকা পাইলট ও ক্রু দু'জনকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।
গোটা ঘটনাটি যাদের সামনে ঘটে সেই বিমানের যাত্রীরাও নালিশ জানিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে।
উল্লেখ্য এর আগে গত ২৭ মার্চ ‘স্পেশাল মিল’ অর্ডার করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সংস্থা। বার্গার, পিটা ব্রেড, হাম, সুপ অর্ডার করা বন্ধ করা হয়েছিল।