থাইরয়েডের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। চিকিৎসকের পরামর্শ আর বিধিনিষেধ মেনে চললে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে তেমন বড় জটিলতার আশংকা সাধারণভাবে কেউ করে না। তবে থাইরয়েডের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে দুশ্চিন্তার কারণও।
মানুষের শরীরের স্বরগ্রন্থির ঠিক নিচে থাকে থাইরয়েড গ্রন্থি। এই গ্রন্থি খাবার থেকে আয়োডিন নিয়ে শরীরে থাইরয়েড হরমোন তৈরি করে৷ যখন থাইরয়েড গ্রন্থির কোষ সাধারণ অবস্থার থেকে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে ও অন্যান্য অঙ্গের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে তখন তা থাইরয়েড ক্যানসারে পরিনত হয়। অনেকদিন ধরে গয়টার বা থাইরয়েড গ্রন্থির অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হতে থাকলে থাইরয়েড ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকে।
লক্ষণ
একেবারে শুরুতে থাইরয়েড ক্যানসারের তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। তবে গলায় হঠাৎ যদি মাংসপিন্ড দেখা গেলে, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে ক্ষত হলে, গলার স্বর বদলে যায় যদি, কথা বলতে- খাবার খেতে কষ্ট হলে উপেক্ষা না করে সতর্ক হতে হবে। থাইরয়েড ক্যানসারে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ঝুঁকি বেশি।
প্যাপিলারি থাইরয়েড ক্যানসার, ফলিকুলার থাইরয়েড ক্যানসার , মেডুলারি থাইরয়েড ক্যানসার , অ্যানাপ্লাস্টিক থাইরয়েড ক্যানসার- মোটামুটি এই চার ধরনের থাইরয়েড ক্যানসার আছে।
চিকিৎসা
থাইরয়েড ক্যান্সার রোগীর ধরন, পর্যায় এবং অবস্থার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয়। থাইরয়েড ক্যান্সারের অধিকাংশই চিকিৎসার মাধ্যমে সেরে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য বা প্রাগনোসিস ভালো থাকে।
পূর্ব ভারত তো বটেই, দেশের অন্যতম সেরা ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এখানে আছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম। চিকিৎসা এবং যোগ সংক্রান্ত তথ্য মেলে সরোজ গুপ্ত ক্যান্সার সেন্টার অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইটে।