কথায় আছে মাঘের শীত বাঘের গায়ে। এই মাঘের শীত বাঘের গায়ে কতটা লাগছে তা বোঝা না গেলেও মাঘের শীতে মানুষ যে কেঁপে অস্থির তা বেশ বোঝা যাচ্ছে। রাতের দিকে লেপ কম্বল মুড়ি দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুম দিচ্ছে শহরবাসী। শীতপ্রেমী মানুষদের কাছে এই ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়ার পক্ষ থেকে নতুন বছরের উপহার বললেও নেহাত ভুল হবে না।
কিছুদিন আগেই ছিল মকর সংক্রান্তি। গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নানের পর থেকেই ঠান্ডা ধীরে ধীরে কমতে থাকে শহর কলকাতায়। কিন্তু গত ৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে এই বছর এক নতুন রূপ দর্শন করালো কলকাতার আবহাওয়া। এই বছর পয়লা মাঘ থেকেই ঝট করে কমতে শুরু করেছে রাতের শহরের পারদ। মাঘের প্রথম দিনেই তাপমাত্রা ১২-র ঘরে। সকাল থেকেই বেশ ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হয় কলকাতায়। পরেরদিন শীতপ্রেমীদের মনে খুশির হাওয়া লাগিয়ে আরও কমে হয়েছে ১১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পৌষের শেষ দিকে একটি নিম্নচাপের কারণে উত্তুরে হাওয়া বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল ঠান্ডা। কিন্তু নিম্নচাপ সরে যেতেই আবার সে তার নিজের মূর্তি ধারণ করেছে উত্তুরে হাওয়া। শহরে থাকাকালীন নিম্নচাপের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় কিছুদিন অদৃশ্য থাকলেও এখন পরিবারের সকলকে নিয়ে বোধহয় কলকাতায় এসে জাঁকিয়ে বসেছে সে। আবহাওয়া সূত্রের খবর, এখনই বাড়ি ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাদের। আরও কিছুদিন কলকাতাতেই থাকতে চায় উত্তুরে হাওয়া ও তার পরিবার।
হাওয়া অফিসের খবর অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় সিকিমে হালকা বৃষ্টি ও সামান্য তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি এই আশংকা সত্যি হয় তাহলে শীতপ্রেমীদের আরোও খুশি করে তাপমাত্রা কমবে আরোও কয়েক ডিগ্রি এবং দীর্ঘ হবে কলকাতায় উত্তুরে হাওয়ার স্থায়িত্বের সময়কাল|