অ্যালঝাইমার্সের প্রকৃত উৎস কী তা এখনও নির্দিষ্টভাবে সামনে আসেনি। কিন্তু অ্যালঝাইমার্সের লক্ষণ এবং ফলাফল নিয়ে কমবেশি সব মানুষই সচেতন। এবার অন্যভাবে মোকাবিলা করা যাবে এই রোগকে। শুধু অ্যালঝাইমার্স নয়, যে কোনও জটিল স্নায়ুরোগ চিকিৎসা ব্যবস্থাতেই আসতে চলেছে বড় ধরনের পরিবর্তন।
কয়েক দশকের গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হলেন আর্টিফিসিয়াল নিউরোন। দীর্ঘদিন ধরে আর্টিফিশিয়াল ব্রেন সেল তৈরির চেষ্টা চলছে।
অ্যালঝাইমার্স এবং স্নায়ুবিক অসুখে যেসব ব্রেনসেল কার্যকারিতা হারিয়েছে তাদের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে আর্টিফিশিয়াল নিউরোন। স্নায়ুর সংকেত ব্যবস্থা খুব জটিল। তাকে আঁচ করাও শক্ত। স্নায়ুর সংকেত সিলিকন চিপে প্রতিফলিত হবে। কম্পিউটার মডেলিং- এর সাহায্যে চিপটি গড়ে তোলা হয়েছে। আর্টিফিশিয়াল সেল এর চিপ ইঁদুরের মস্তিষ্কে প্রতিস্থাপন করা হয়।
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই যুগান্তকারী আবিষ্কার ঘটিয়েছে।
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এলিইয়েন নরগেটস এই পুরো প্রজেক্টটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘এতদিন পর্যন্ত নিউরন ছিল অনেকটা বন্ধ কালো বাক্সের মতো। যার ভিতরে কি আছে পুরোটাই অজানা। কিন্তু এখন আমরা সেই বাক্স খুলতে সক্ষম হয়েছি’।
ক্রনিক অসুখ, হার্ট ফেল, অ্যালঝাইমার্স এবং অন্যান্য জটিল স্নায়ুবিক রোগ মোকাবিলায় আর্টিফিশিয়াল নিউরোন কাজ দেবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণায় এ এক নতুন দিশা।
ধরা যাক কারুর হার্ট ফেল হল। মস্তিষ্কের স্নায়ু স্নায়ুতন্ত্রকে যথাযথভাবে সাড়া দিতে পারছে না। সেই কারণেই হৃদ যন্ত্রের কাছেই সংকেত আসছে না। হৃদযন্ত্র কাজ থামিয়েছে। ঠিক কোন স্নায়ুতে সমস্যা আর্টিফিশিয়াল নিউরন সেই বিষয়টিকে ধরবে।
ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যার অধ্যাপক জুলিয়ান প্যাটন জানিয়েছেন, 'স্মার্ট মেডিকেল ডিভাইস' তৈরিতেও পথ দেখাবে আর্টিফিশিয়াল ব্রেনসেল'।
নেচার পত্রিকায় সম্প্রতি আর্টিফিশিয়াল নিউরন সংক্রান্ত গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়।