আজ থেকে প্রায় ১৯ বছর আগের কথা। সালটা ২০০১। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট খেলতে চেন্নাইয়ের এক হোটেলে উঠেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। ভারতরত্ন জয়ী শচীন তেন্দুলকারের তখন সফল ক্রিকেট কেরিয়ায়ের মাঝ পথে। অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তখনই সেই হোটেলের এক কর্মচারীর সঙ্গে আলাপ হয় মাস্টার ব্লাস্টার্সের। শচীন জানান সেই কর্মচারী প্রথম তাকে তার ‘এলবো গার্ডটি’-র ধরণ পাল্টানোর কথা জানান। পরবর্তীকালে যা তেন্দুলকারের জন্য ফলদায়ক প্রমাণিত হয়।
সম্প্রতি শচীন তার টুইটার হ্যান্ডেলে সেই কর্মচারীর বিষয় জানান। যেখানে তিনি বলেন যে কাকতালিয় ভাবে সেই হোটেল কর্মীর সাথে আলাপ হলেও ‘এলবো গার্ড’-কে কেন্দ্র করে তার পরামর্শ যথেষ্ট লাভদায়ক ছিল। নেটিজেনদের কাছে তার সন্ধানও জানতে চান শচীন। জবাবে সেই হোটেলের বর্তমান কর্তৃপক্ষ জানান যে তার সন্ধান পাওয়া গেছে, তিনি হোটেলের নিরাপত্তা বিভাগের একজন কর্মী ছিলেন যার নাম গুরুপ্রসাদ। তারা যত শীর্ঘ সম্ভব শচীনের সাথে তার সাক্ষাত করানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জনান তেন্দুলকার। তার ২৪ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে ওডিআই আর টেস্ট মিলিয়ে করেছেন ৩৪ হাজার রান, পেয়েছেন একশটি সেঞ্চুরিও। কিন্তু আজও যে সেই হোটেল কর্মীর কথা ভোলেননি তিনি, জানান ‘লিটল মাস্টার’।