পরিনির্বাণের আগে সিংহশয্যায় শয়ন করেছিলেন গৌতম বুদ্ধ। সেই শয়নমুদ্রাকেই ভাস্কর্যে রূপ দান করছেন কুমোরটুলির প্রখ্যাত মৃৎশিল্পী মিন্টু পাল। ফাইবার গ্লাসের তৈরি ১০০ ফুটের শায়িত সোনালীরঙা এই বুদ্ধ মূর্তি বাংলা তো বটেই, গোটা দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ – এমনটাই দাবি করছে বুদ্ধ ইন্টারন্যাশানাল ওয়েলফেয়ার মিশন।
তথাগত ৮০ বছর বেঁচে ছিলেন। সেই কথা মাথায় রেখে মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৮০ ফুট নির্ধারিত করা হয়েছিল। তবে বেদি যুক্ত করলে সমগ্র মূর্তিটির দৈর্ঘ্য হবে ১০০ ফুট। আগামী বুদ্ধ পূর্ণিমায় বুদ্ধগয়াতে প্রতিষ্ঠিত হবে এই মূর্তি।
প্রসঙ্গত ২০১৫ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক সার্বজনীনের জন্য ৮৮ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছিলেন মিন্টু পাল। এছাড়া সারা ভারতবর্ষ এবং ভারতের বাইরে নানান দেশে বিভিন্ন রকম বৃহৎ আকৃতির মূর্তি গড়েছেন। ওঁর সেইসব কাজ দেখে খুশি হয়ে বুদ্ধ ইন্টারন্যাশানাল ওয়েলফেয়ার মিশন তাঁকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই বুদ্ধ মূর্তিটি তৈরি করার বরাত দেয়।
মিন্টু বাবুর কথায়, কাজের বরাত পাওয়ার পর পরই করোনার দাপটে লকডাউন শুরু হয়ে যায়। গোদের উপর বিষফোড়া আমফান ঘূর্ণিঝড়। সম্প্রতি আবার কাজ শুরু হয়েছে। মূর্তির প্রতিটি অংশ আলাদা আলাদা ভাবে তৈরি করা হচ্ছে। বুদ্ধগয়াতে নিয়ে গিয়ে তা জোড়া লাগানো হবে।
দেশের বৃহত্তম বুদ্ধমূর্তি তৈরির কান্ডারী মিন্টু পাল খুশি এমন কাজের দায়িত্ব পেয়ে। জানিয়েছেন, সারা পৃথিবী থেকে বহু পর্যটক বুদ্ধগয়াতে যান। সবাই ফাইবার গ্লাসের তৈরি এই সোনালী মূর্তিটি দেখবেন – এটা ভেবেই আনন্দ হচ্ছে!
আগামী বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে এই মূর্তিটি পাড়ি দেবে বুদ্ধগয়ার উদ্যেশ্যে। তাই করোনা আবহের মধ্যেও জোর কদমে দেশের বৃহত্তম শায়িত বুদ্ধ মূর্তি নির্মাণের কাজ করে চলেছেন শিল্পী।
ছবি - অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায়