প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট ও দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বন্যা, খরা, বরফ গলে যাওয়ার মতো ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশাঞ্চল। তার সঙ্গে সঙ্গে দূষণের মাত্রাও ক্রমাগত পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দ্রুত গতিতে। এ অবস্থায় দূষণরোধ করতে একটি কৃত্রিম গাছ নির্মাণ করেছে মেক্সিকান স্টার্টআপ বায়োমিটেক সংস্থা, যার এক একটি গাছ বাতাস থেকে দূষিত বায়ু শোষণ করে প্রায় ৩৬৮টি গাছের সমান দূষণরোধ করার ক্ষমতা রাখে।
বায়োআর্বান নামক প্রায় ১৪ ফুট বিশিষ্ট এই যন্ত্রটি বর্তমানে গবেষণার দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে। তবে যন্ত্রটির মাথায় একটি ধাতুর তৈরী খুলি থাকার কারণে তা দেখে অনেকেই ল্যাম্পপোস্ট ভেবে ভুল করতে পারেন।
“প্রায়োগিক কৌশলের মাধ্যমে যন্ত্রটি দূষিত বায়ু শোষণ করে এবং গাছের মতোই জীববিদ্যার পদ্ধতি অবলম্বণ করে তার সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে,” বায়োমিটেকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জেইম ফেরার বলছেন।
প্রায় এক টন সমান এই বিশেষ যন্ত্রটি বাতাস থেকে ৯৯.৭ শতাংশ পিএম ২.৫ এবং ১০টি নির্দিষ্ট জৈব গ্যাস শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। শুধু তাই নয়, অন্ততপক্ষে এক হেক্টর বনাঞ্চল তুল্য দূষণমুক্ত বায়ু তৈরী করতে সক্ষম এই যন্ত্র।
স্বনির্ভর শক্তি জোগানের জন্য সৌরশক্তির প্যানেল দ্বারা সজ্জিত এই বায়োআর্বান যন্ত্র। এখনও পর্যন্ত তিনটি স্থানে এই কৃত্রিম গাছটি স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি রয়েছে সংস্থাটির নিজের শহর মেক্সিকোর পুয়েব্লায়, অন্য দুটি যথাক্রমে পানামা ও কলোম্বিয়ায় স্থাপন করার পাশাপাশি আগামী দিনে দেশের নানা প্রান্তে এই বায়োআর্বান যন্ত্র ইন্সটলেশনের পরিকল্পনায় রয়েছে বায়োমিটেক সংস্থা। যন্ত্রটির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০,০০০ ডলার।