বাড়িতে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে গেলে কোন নিয়মগুলি অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত

হিন্দুদের প্রতিটি উৎসব অনুষ্ঠানে স্বস্তিক হিহ্নের ব্যবহার হয়। সিন্ধু সভ্যতার যুগ থেকেই শুভকাজে এই চিহ্নের ব্যবহার হয়ে আসছে। সেই সমইয়েই চিহ্নের ব্যবহার প্রথম শুরু হয়। মৌর্য যুগে বিষ্ণুর ১০৮ চিহ্নের মধ্যে স্বস্তিক চিহ্নকে অন্যতম হিসাবে বিচার করা হত। 

স্বস্তিক একটি সংস্কৃত শব্দ। স্ব এবং অস্তি এই দুই শব্দ নিয়ে ‘স্বস্তিক’ শব্দটি গঠিত। স্বস্তিক চিহ্ন চার দিক, চার বেদ, চার ধাম, চার বর্ণ, চার আশ্রম, মানব জীবনের চার পর্ব এবং চার দেবতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ অর্থাৎ শিব এবং গণেশকে উপস্থাপিত করে। 

সাধারণ ভাবে স্বস্তিক শব্দের অর্থ কল্যাণ বা মঙ্গল। স্বস্তিককে সৌরদেবতা অর্থাৎ সূর্য রশ্মির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।সূর্যের আলোর নির্ভর করে পৃথিবী ও সৃষ্টি। প্রতিটি জীব জীবন আবর্তিত এই সূর্যকে নির্ভর করেই।

গঙ্গাজল, গোমূত্র, সিঁদুর, হলুদ এবং জাফরান দিয়ে স্বস্তিক অঙ্কনের নিয়ম। ঘটের উপরে এই চিহ্ন আঁকা হয়। পুজোর স্থানে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকলে কোনও বাধা ছাড়া পুজো শেষ হয় এবং পুজোর শুভ ফল লাভ করা যায় বলে প্রচলিত বিশ্বাস। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ধনদেবতা ও লক্ষ্মীকে তুষ্ট করতে এই চিহ্ন আঁকা হয়।

হিন্দুধর্মে ডানমুখী প্রতীক (ঘড়ির কাঁটার দিকে) (卐) কে স্বস্তিক বলা হয়, যা সূর্য, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। অন্যদিকে বাম- মুখী প্রতীক (ঘড়ির কাঁটার বিপরীত) (卍)। ) কে বলা হয় সৌভাস্তিক। হিন্দু ছাড়াও জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছেও স্বস্তিক চিহ্নের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। জৈন ধর্মে স্বস্তিক চিহ্ন সপ্তম তীর্থঙ্করের প্রতীক।  

বাড়িতে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকতে গেলে কতগুলো নিয়ম অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত। বাড়িতে যে স্থানে এই চিহ্নটি আঁকা হবে সেই স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। ঘরে কখনও উলটো স্বস্তিক আঁকা উচিত নয়। বাড়িতে উল্টো স্বস্তিক আঁকলে তা অশুভ ফল প্রদান করে। 

  • ট্যাগ

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...