ধরুন, আপনার কোনও বন্ধু আপনাকে জিজ্ঞাসা করল কোথায় বেড়াতে যাচ্ছেন?
আপনি কনফিডেন্টলি উত্তর দিলেন, “মিডল কিংডম”!
তারা খুঁজতে থাকবে ‘মিডল কিংডম’র দেশ। আপনি কিন্তু কুল। আপনি জানেন মিডল কিংডম যে আসলে চায়না। অর্থাৎ চীন।
সেভাবেই ভারত “কান্ট্রি অফ দ্য রিভার ইন্ডাস”। বাংলাদেশ, “ল্যান্ড অফ বেংগলিজ”
অনেকেরই প্রিয় হবি ম্যাপ ঘাঁটা। গ্লোব হাতড়ানো। কিন্তু ভেবে দেখুন তো ‘আফ্রিকা’ কেন আফ্রিকা হল?
ইউরোপ ঠিক কবে থেকে ইউরোপ নামে ডাকা হতে শুরু হল?
এশিয়া কেন এশিয়াই?
ভূখণ্ডের নামের রহস্য নিয়ে তৈরি হয়েছে আস্ত একটা মানচিত্র। পৃথিবীর পাঁচ মহাদেশের নামের উৎস আপনাকে জানিয়ে দেবে এই মানচিত্র। প্রতিটি দেশের নামের ঐতিহাসিক সূত্র।
ভু খণ্ডের নামের ক্ষেত্রে অনেকগুলো দিক কাজ করে। ভৌগলিক প্রভাব, আবহাওয়া, জলবায়ু, প্রকৃতি নানা রকম প্রভাবে তৈরি হয় ভূ খন্ডের নাম। লোকমুখে তা ছড়িয়ে যায়। বদলেও যায়। ইতিহাস, সংস্কৃতি, জীবনযাত্রার ছাপ থাকে ‘নামে’।
যেমন ধরুন, স্পেন। স্পেন শব্দের অর্থ ‘ ল্যান্ড অব মেনি র্যাবিটস’। যার মানে এই ভুখন্ডে একসময় প্রচুর খরগোশ দেখা যেত।
অনেক সময় দেশের নামে সেই দেশের অধিবাসিদের আচার ও প্রকৃতিও প্রতিফলিত হয়। ‘ম্যাসিডোনিয়া’। ‘ম্যাসিডোনিয়া’র অর্থ ‘লম্বা মানুষের দেশ’।
কিছু দেশের নামের মানে কবিতার মত। যেমন, আর্জেন্টিনা। ‘ল্যান্ড বিসাইড দ্য সিল্ভারি রিভার’। রূপোলী নদীর ধারের দেশ।
টুরিস্ট দের সুবিধার জন্য একটি সংস্থা তৈরি করেছে এই ম্যাপ। ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিন আমেরিকা- পাঁচ মহাদেশের জন্য আলাদা আলাদা পাঁচটি ম্যাপ।