স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিনটি সারা দেশ জুড়ে শিশুদিবস হিসেবে পালন করা হয়।
শিশুদের কাছে তিনি ছিলেন ‘চাচা নেহেরু’। বলেছিলেন, ‘শিশুরা ফুলের কুঁড়ির মতো। তারাই দেশের ভবিষ্যৎ। আগামীর নাগরিক’।
মৃত্যুর পর তাঁর জন্মদিনটি ভারতে ‘শিশু দিবস’ হিসেবে চিহ্নিত হয়।
ভারতীয় সংবিধান শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করেছে। দেশের প্রতিটি সাধারণ নাগরিকের যেমন মৌলিক অধিকার রয়েছে তেমনি শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্যও বেশ কিছু আইন ও ধারা বলবৎ করা হয়েছে সংবিধানে।
শিশু কারা
লিঙ্গ নির্বিশেষে আঠারো বছরের নীচে থাকা যে কোনও ‘ব্যক্তি’ ভারতীয় আইন অনুযায়ী ‘শিশু’।
শিশুর অধিকার কেন
যে কোনও রকম নিগ্রহ, লাঞ্ছনা, নির্যাতন থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সংবিধানে এই ধারাগুলি তৈরি করা হয়েছে।
অধিকারগুলি কী কী
ভারতীয় সংবিধানের ২১- এ ধারায় ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশুদের শিক্ষার অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সরকারি স্কুলগুলি প্রতিটি শিশুকে বিনামূল্যে শিক্ষা দেবে এবং স্কুল পরিচালন কমিটি দ্বারা স্কুলগুলি পরিচালিত হবে। বেসরকারি স্কুলগুলি মোট পড়ুয়ার অন্তত ২৫% শিশুকে বিনামূল্যে ভর্তি করবে।
২০০১ সালে প্রকাশির রিপোর্ট অনুযাইয়ী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিপজ্জনক পেশায় প্রায় ১২ হাজার শিশুশ্রমিক যুক্ত। যদিও বাস্তবে এই সংখ্যা অনেকটাই অন্যরকম। সংবিধানের ২৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে ১৪ বছরের নীচে কোনও শিশুকে কোনও কারখানা, খনি বা কোনও বিপজ্জনক কাজে নিযুক্ত করা যাবে না।” বিপজ্জনক শিল্পে শিশুদের নিয়োগ শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
স্বাধীন ভাবে ও মর্যাদার সঙ্গে সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সব রকম সুযোগ ও সুবিধা পাওয়া ভারতীয় শিশুদের অধিকারের মধ্যে পড়ে।
স্ত্রী-পুরুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে সুস্থ স্বাভাবিক এবং স্বাধীনভাবে শিশুর বেড়ে ওঠা সুনিশ্চিত করবে রাষ্ট্র।
উল্লিখিত বিষয়গুলি ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। কিন্তু এই মূল অধিকারগুলি সাধারনের জেনে রাখা জরুরি।