শহরে আজ তেমন বৃষ্টি হয়নি। রোদ ঝলমলে আকাশ না থাকলেও সকাল থেকেই বৃষ্টির দেখা নেই। তবে আকাশ মেঘলা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জায়গায়। কনকনে ঠান্ডা হাওয়া দিচ্ছে সর্বত্র। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। কিন্তু ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে ভালোই। শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্বাভাস মতোই গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি হয়েছিল সারাদিন। তবে আর বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রবিবার নয়, সোমবার থেকে পড়বে হাড়কাঁপানো ঠান্ডা। জানানো হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর থেকে ঘূর্ণাবর্ত সরে গিয়ে এখন বাংলাদেশের ওপর অবস্থান করছে। ঘূর্ণাবর্ত যেহেতু সরে গিয়েছে তাই আপাতত কলকাতায় বৃষ্টির আর সম্ভাবনা নেই। রবিবার থেকেই রোদ ঝলমলে দিন হবে দক্ষিবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি পারদ নামবে। জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শহরের তাপমাত্রা থাকবে ১২-১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
কিন্তু উত্তরবঙ্গে এখনই রোদের দেখা পাওয়া যাবেনা বলেই জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদেরা। অবিরাম বর্ষণ চলবে উত্তরবঙ্গে। টানা বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। দার্জিলিঙে প্রবল তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, আজ সকালে দার্জিলিং শহরের ম্যাল থেকে পরিষ্কার কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেছে। সেখানকার পর্যটকেরা যারপরনাই খুশি। এবারে পূর্বাভাস অনুযায়ী যদি তুষারপাত হয় তাহলে এই মরশুমের পর্যটকেরা গত বছরের মত আনন্দে মেতে উঠতে পারবেন।
আবহবিদদের মতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং পূবালী হওয়ার সংঘাতের ফলে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অবস্থানের কারণে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশের পথে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চলের থেকে কনকনে শীতল হাওয়া প্রবেশ করতে পারছেনা। তাই গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা বেশ খানিকটা বেড়েছে। তবে আবহাওয়াবিদরা ফের ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পারদ নামতে পারে বলে জানাচ্ছেন। দার্জিলিং এবং সিকিমে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। বিশেষ করে এলাকার উচ্চতর জায়গাগুলিতে তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।