শহরের পাঁচটি মেডিক্যালে রিভলভিং গেট বসবে

মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা একান্তই প্রয়োজন। যেভাবে কারনে-অকারনে ডাক্তারদের ওপর হামলা হয়, তার পরিপ্র্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করবার যথেষ্ট প্ৰয়োজনীয়তা রয়েছে, তা বলাই যায়। এই কারণেই কলকাতার প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মূল গেটের সঙ্গেই একটি রিভলভিং গেট রাখার সুপারিশ করলেন নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত নোডাল অফিসার এবং আধিকারিকরা।

    বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে প্রায় ২টো পর্যন্ত এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন সেখানকার স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল অফিসার মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন নোডাল অফিসার সঞ্জয় বনশল, যিনি সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থার দায়িত্বে আছেন। তাঁরা জানান, মূল গেটের সঙ্গে রিভলভিং ছোট গেট থাকলে সুবিধে হবে। রিভলভিং গেট দিয়ে একসঙ্গে অনেকে হুড়মুড় করে ঢোকা বা বেরোনো যায়না। এর ফলে নিরাপত্তা অনেকটাই সুরক্ষিত হবে। তাছাড়া একটি গেট দিয়ে ঢোকা এবং অন্য একটি গেট দিয়ে বেরোনোর পরিকল্পনাও করছেন তাঁরা। তার সঙ্গে রাতের দিকে অনেকগুলি গেটের মধ্যে যে কোনো একটিকে খোলা রাখা এবং সেই গেট দিয়েই ঢোকা এবং বেরোনোর কথা ভাবা হচ্ছে।

    আরও একটি ব্যাপারে দৃষ্টিনিক্ষেপ করেছেন আধিকারিকেরা। যে কোনো হাসপাতালে নির্মাণের কাজ চলাকালীন অতিরিক্ত জিনিসপত্র ছড়িয়ে রাখা যাবেনা। তাছাড়া, নির্মাণকাজ শেষ হয়ে গেলে পড়ে থাকা ইঁট, স্টোনচিপস, পাথর ইত্যাদি রাবিশ বা আবর্জনা পরবর্তী দশ দিনের মধ্যে পরিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। ওই জিনিসগুলো যাতে কোনোভাবেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা না যায়, সেদিকে নজর দেওয়া  প্রয়োজন। আধিকারিকেরা হাসপাতালের এমার্জেন্সি, গাইনি ওয়ার্ড, হস্টেল সহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন। ওই পরিদর্শনের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বেশিরভাগটাই কলকাতার পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের জন্যই নেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের জন্য একটি আদর্শ নিয়ম খুব শিগগিরই প্রকাশিত হবে, যেখানে নিরাপত্তার বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হবে। আরো বেশ কয়েকটি বিষয় বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্য দফতর এবং প্রশাসন থেকে। তা হল- হাসপাতাল এবং আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের মাঝখানের পাঁচিলে কাঁটাতার লাগানো এবং হাসপাতালের সব অবাঞ্ছিত অ্যাম্বুলেন্স বের করে দেওয়া। তবে অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন পড়ে। সেক্ষত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেই ব্যাপারে সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা চলছে। এই মর্মে এনআরএস-এর ক্ষেত্রে ঠিক হয়েছে ইমার্জেন্সির পেছনে একটি জায়গায় পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। প্রয়োজন পড়লে সেগুলি ব্যবহৃত হবে। তবে একটি অ্যাম্বুলেন্স বেরোনোর পরই অপর অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারবে-এমনই ব্যবস্থা করা হবে। পিজিতে নিযুক্ত স্বাস্থ্য দফতরের নোডাল অফিসার বিনোদ কুমার সহ সেখানকার দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য এবং পুলিশ প্রশাসনের নোডাল অফিসাররা সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...