জাতি সংঘের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অনুযায়ী ইরাকের ৫০ শতাংশ মহিলা কোনও না কোনওভাবে হিংসার শিকার হয়েছে। হিংসার জেরে প্রিয়জন, পরিজন হারায়নি এমন মহিলার সংখ্যা নগণ্য।
পাশাপাশি নারী পাচার, যৌন ব্যবসায় বাধ্য করার মতো ঘটনা তো আছেই। পিতৃতন্ত্রের ঘেরাটোপের অন্ধকারে হারিয়ে গিয়েছে নারীর অধিকার। কিন্তু এবার সেই ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসার আন্দোলন শুরু করেছে ইরাকী মহিলারা।
গত অক্টোবর থেকে ইরাক জুড়ে শুরু হয়েছে সরকারি বিরোধী বিক্ষোভ।
এই বিক্ষোভ আন্দোলনের পুরভাগে দেখা গিয়েছে মহিলাদের। তাদের প্রতিবাদ বেড়ে মহিলাদের ওপর বেড়ে চলা হিংসা আর পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে।
আন্দোলন শুধু মাত্র রাস্তা আর স্লোগানেই সীমাবদ্ধ রাখছেন না তাঁরা। শিল্পের মাধ্যমেও সমাজের সব স্তরে ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
ইরাকী মহিলাদের প্রতিবাদ উদযাপন করা হয়েছে রাজধানী বাগদাদের বিভিন্ন দেয়ালে ম্যুরাল আঁকার মাধ্যমে।
বাগদাদের তাহরির স্কয়ার যা বিক্ষোভের উৎসস্থল হিসেবে পরিচিত, সেই তাহরির স্কোয়ার পরিণত হয়েছে সৃজনশীল প্রতিবাদের মূল কেন্দ্র।
গ্রাফিটি বা মুর্যাল বিক্ষোভের প্রতীক হয়ে উঠেছে। মেয়েরাই এঁকেছেন। তাঁদের নিজেদের কথা উঠে এসেছে রঙের ভাষায়।
অনেক সময় লুকিয়ে, কাপড়ে বা হিজাবে মুখ ঢেকেও বিক্ষোভ মিছিলে পা মিলিয়েছেন তাঁরা।
আগে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে মেয়েদের সেভাবে দেখা যেত না। কিন্তু এখন সেই ছবি আমূল বদলে গিয়েছে।
মহিলাদের লড়াইকে উদাযাপনের এই উদ্যোগকে সম্মান জানিয়েছেন পুরুষরাও।