শ্রী হরির নাসারন্ধ্র থেকে বিষ্ণুর বরাহ অবতারের আবির্ভাব

কৃষ্ণ যজুর্বেদ সংহিতায় বরাহ অবতারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাহাড়, নদী, ভূ-ভাগ পরিবেষ্টিত ধরণী উৎপত্তির পূর্বে জলমগ্ন ছিল। কোনও প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল না। সেই সময় বরাহরূপ ধারণ করে শ্রী বিষ্ণু পৃথিবীকে রক্ষা করেন।

 সত্যযুগে বরাহ অবতার শ্রী বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার। এই অবতারে তিনি বন্য শূকরের রূপ ধারণ করেছিলেন। শ্রী হরির নাসারন্ধ্র থেকে তাঁর জন্ম হয়। পুরাণ কাহিনি বলে হিরণ্যাক্ষ নামে এক দানবের হাত থেকে বিপন্ন পৃথিবীকে বাঁচাতে নিজ শরীরে ধারণ করেন। হিরণ্যাক্ষের মুনি কাশপ্যের ঔরসে দক্ষ কন্যা দিতির গর্ভে জন্ম হয়।    

হিরণ্যাক্ষ পৃথিবীকে জলের তলায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। বরাহ রূপে আবির্ভূত হয়ে বিষ্ণু তাঁর সঙ্গে এক হাজার বছর ধরে যুদ্ধ চালান। সেই যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত হন দানব হিরণ্যাক্ষ।

তারপর সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার হয় দেবী ধরিত্রী। বরাহরূপী শ্রী বিষ্ণুর সঙ্গে বিবাহ হয় দেবীর।

প্রাচীন পুরাণ ও শিল্প কলায় ভগবান বিষ্ণুর বরাহ অবতারের দু’রকম চিত্র পাওয়া যায়। কোথাও তাঁকে চিত্রিত করা হয়েছে সম্পূর্ণ পশুরূপে। কোথাও তিনি অর্ধেক মানব, অর্ধেক বরাহ। দ্বিতীয়রূপে বরাহদেব চতুর্ভূজ। শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্মে সজ্জিত। তাঁর বরাহদন্তে পৃথিবী। বরাহরূপে তাঁর গায়ের রং নীল নীল। গাত্র বর্ণ দেখেই দেব, গন্ধর্বগণ বুঝতে পারেন যে তিনি ভগবান বিষ্ণুর অবতার। বরাহ অবতার প্রলয় ধ্বংসের পর নব সৃষ্টির প্রতীক।        

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...