রাত পোহালেই দেশের ১৭ তম সাধারন নির্বাচনের প্রথম দফা নির্বাচন। ২০ টি রাজ্যের প্রায় ৯১টি কেন্দ্রে হবে এই ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া। কিন্তু কিভাবে সংগঠিত হয় বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া? এর পেছনে আছে ৫মিলিয়ন সৈনিকরা যারা হয়তো আমার আপনার খুব কাছের পরিচিত মুখ।
ভারতের যে কোনও ধরনের নির্বাচন সংঘটিত করে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের নির্বাচন হলে তা করায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও দেশের নির্বাচন হলে অর্থাৎ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব রয়েছে সম্পূর্ণ রূপে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের হাতে। কিন্তু এত বড় দেশে যার জনসংখ্যা প্রায় ১৩৪ কোটি, সেই দেশে কি মাত্র হাতে গোনা ৪০০ জন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের দিয়ে ভোট করানো সম্ভব! তাও তিন মাস সময় সীমার মধ্যে।
অবশ্যই নয়! যদিনা সেই সব ভোট কর্মীরা থাকতেন যাঁরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হাতে ইভিএম মেশিন নিয়ে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভোট করাতে যেতেন। সেই সব ‘আন সাঙ্গ হিরো’ মূলত সরকারি কর্মীরা, যাঁদের নির্বাচনের সময় নিযুক্ত করে নির্বাচন কমিশন। আমাদের দেশে ৪৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে সাধারণ নির্বাচন। সেই সময় গুলো বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম নিয়ে একে একে পৌঁছে যায় ভোট কর্মীরা। ভোটের দিন তাঁদেরই হাতে থাকে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন করানোর দায়িত্ব।
২০১৬ নির্বাচন কমিশন তাঁদের বার্ষিক মুল্যায়নে প্রকাশ করেছিলেন যে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৩৭,৩১,৮৯৭ জন ভোট কর্মী কাজ করেছেন সারা ভারতে। যা বিশ্বের নির্বাচনের ইতিহাসে রেকর্ড গড়েছে। ২০১৯ সালে সেই সংখ্যাটা খানিকটা হলেও বাড়বে। প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক ঝড় ঝাপটা সহ্য করে এবারেও দেশের ১০,৩৫,৯১৮ টি ভোট গ্রহন কেন্দ্রে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ভারতীয়কে ভোট দিতে সাহায্য করবেন এই নাম না জানা অতি সাধারণ ভোট কর্মীরা।