স্নাতকোত্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে নয়া ভাবনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। জানা গিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে স্নাতকোত্তরে ভর্তির পরীক্ষা অনলাইনে করার কথা ভাবছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে ইতিমধ্যে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে উক্ত বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে জানা যায় যে, আলোচনা যা হয়েছে, তাতে এই নয়া পদ্ধতি চালু করার পক্ষেই রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এই নয়া পদ্ধতি লাগু হলে অনেকটা সময় কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি টেস্ট (নেট) যেভাবে হয়, এই প্রবেশিকা পরীক্ষাও ঠিক সেরকমভাবেই করা হবে। পরীক্ষার্থীদের কম্পিউটারে বসেই পরীক্ষা দিতে হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় যে, এই বিশেষ পরীক্ষা পরিচালনা করার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি নেওয়ার জন্য বাইরের কোনও সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাবার্তা চলছে।
মূলত শিক্ষকদের তরফেই এমন প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষকর্তাদের দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা অবশ্য তাতে সহমত পোষণ করেছেন। তবে কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, প্রশ্নপত্রই বা কেমন হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এখনও বাকি রয়েছে। তবে প্রথম পর্যায়ের আলোচনা থেকে জানা গিয়েছে, এই সব পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনও প্রশ্নপত্র থাকে না। থাকে শুধু কেবল প্রশ্নের সংখ্যা। জানা যায় যে, একটি কোয়েশ্চন ব্যাঙ্ক করা থাকবে। কম্পিউটারে তা আপলোড থাকবে। পরীক্ষার্থীদের সেখান থেকেই প্রশ্ন আসবে। তা বাছবে কম্পিউটারই। ফলে একজন পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আরেকজনের প্রশ্ন নাও মিলতে পারে। এমনকী শিক্ষকরাও জানতে পারবেন না কার কাছে কোনও প্রশ্ন গেল। তবে এই ক্ষেত্রে প্রশ্নপত্র অবশ্য শিক্ষকরাই করে দেবেন।তবে এই বিশেষ পরিকল্পনার বিষয়ে শিক্ষকরা জানান, এই ধরনের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে, সময় অনেকটাই বাঁচানো যাবে। কারণ, এখন পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই সময় চলে যায়। অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হলে, দু’-একদিনের মধ্যেই এই পর্ব মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। আর কিছুদিনের মধ্যেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই জানা গিয়েছে। যা উভয় পক্ষের ক্ষেত্রেই বেশ উপযোগী হয়ে উঠবে।