২৭ বছরের আগের এক ঘটনা রাতারাতি বদলে দিয়েছিল এই ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীর জীবনকে, কী ঘটেছিল?

মনে করুন আপনি ঠিক যেভাবে ভেবেছিলেন ঠিক সেই পথেই এগোচ্ছে আপনার জীবন। ঠিক যখন পরের ধাপটা ভাবতে শুরু করেছেন, ঠিক তখনই এক ধাক্কায় বদলে গেল সব কিছু। জীবনের জাহাজখানা একেবারে অতল সমুদ্রে ভরাডুবি। রাতারাতি বদ লে গেল জীবনের চেনা চেহারাটা।

ঠিক এমনটাই ঘটেছিল এক ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীর জীবনে।

২৭ বছর আগের একদিন। শীতের দুপুর। রোদ ঝিমোতে শুরু করেছে কেরালার রাজধানী ত্রিবান্দাম শহরের বারান্দাগুলোতে। শহরের মাঝে এক চুলের মতো সরু গলি। গলি পেরিয়ে ইঁটের বাড়ি। হঠাৎ বেজে উঠল এক  বাড়ির ঘন্টি। অন্যদিনের তুলনায় একতু যেন অন্যরকমভাবে।

দরজায় তিন পুলিশ অফিসার। ভদ্র। সজ্জন। তাঁরা খুঁজছেন এই বাড়ির কর্তাকে।

সেদিন দুপুরের কথা আজও এমন ছবির মতো মনে করতে পারেন প্রবীণ মহাকাশ বিজ্ঞানী এস. নাম্বি নারায়ণন

সেই পুলিশ আধিকারীকরা তাঁকে এসে বললেন, “তাঁদের অর্ধতন ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান।”    

 নাম্বি নারায়ণন তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে, “আমাকে কি গ্রেফতার করা হচ্ছে?”

আধিকারিকরা উত্তর দিলেন, ‘’নো স্যার’।

১৯৯৪ সালের ৩০ নভেম্বর। ইন্ডিয়ানস্পেস এজেন্সির ক্রায়োজেনিক রকেট ইঞ্জিন প্রোজেক্টের প্রধান বিজ্ঞানী তখন ৫৩ বছর বয়সী নাম্বি নারায়ণন। রাশিয়ার প্রযুক্তিকে ভারতীয় রকেট গবেষণায় যথাযথভাবে কাজে লাগানোর কাজে এক করছেন দিনরাত।

numbi-1

নাম্বি নারায়ণন দরজা থেকে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে বসলেন। তার আগে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কোথায় বসবেন, ‘সামনের সিটে নাকি পিছনে?’। পুলিশ-প্রশাসনের চোখে  সন্দেহভাজন ব্যক্তি সব সময় পিছনের সিটেই যে বসে!

আধিকারিকরা তাঁকে সামনের সিটেই বসতে বললেন। প্রবীণ বিজ্ঞানী তাই করলেন। তারপর গলি দিয়ে বেরিয়ে গেল পুলিশের জিপ…

তারপর কী হল?  

 

চলবে...

 

তথ্য সূত্র (বিবিসি, দ্য হিন্দু, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস)

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...