কলকাতার ত্রুবাদুর
তিনি গায়ক। তিনি পারফর্মার। সর্বোপরি তিনি একজন শিল্পী। কলকাতার নগর কবিয়াল।
একটা ছেলে গিটার হাতে। দুপুরের কলকাতা। সেও একলা । ঈশান কোনে তখন জমতে শুরু করেছে রঙ চিনতে না পারা এক পাল মেঘ। অজানা আবাহাওয়া ঘিরে ফেলেছে শহরকে। প্রেম হাবুডুবু খাচ্ছে সেই অচেনা বাতাসে।
বাঙালি জীবনের প্রতিটা বাঁকে আছেন তিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি মনে করিয়ে দেন ভালবাসা কুড়োতে কুড়োতে চলতে হয়। সে এমনিতে ধরা দেয় না।
প্রেমিকা তাঁর কাছে সংগ্রামের সঙ্গী। তাঁর গানে কবিতা, কবিতায় গান। সুরে মন কেমন করা মেঘের মৃদু গর্জন। গানে থাকে জীবনের ছন্দ, বিপ্লবের পোড়ো বারুদ,জলে মাখা সেঁদো মাটির সুবাস।
সুমন চ্যাটার্জি। বাংলা গানের কবীর । তাঁর গীতির ছত্রে ছত্রে মিশে রয়েছে সেই একই দোঁহা ।
নব্বইয়ের দশকের বাংলা ক্যালেন্ডারে তিনি বেজে চলেছেন সকাল-সন্ধে। আগামী তে তারা বেয়ে নামতে চলেছে চন্দ্রবিন্দু, মাটি খুঁড়ে বেরোতে চলেছে ফসিল্স্, ফুটতে চলেছে নতুন ক্যাকটাস আরও কত কে!
অমরত্বের প্রত্যাশা না থাকলেও লেখনীর টানে, গিটারের তারে আর অগুনতি স্রোতার চাওয়ায় তিনি আজ ৭১-এ।
শিরা-ধমনীতে রাজনীতি মাঝে মধ্যে বেসুরো হয়ে রক্তচাপ বাড়িয়ে তোলে। তবুও জেগে আছেন কবিয়াল। তাঁর পাঠক ও স্রোতাদের জন্যে আজও স্বর্গ থেকে চুরি করে আনতে পারেন নতুন জীয়ন; ঠিক সেই গ্রিক পুরাণের নায়কের মত।
তিনি আজকের প্রমিথিউস...