আমরা বাঙলিরা নিজেদের খাবারের পাশাপাশি অনেক ধরণের খাবার আপন করে নিতে পেরেছি। এমনই একটি খাবার হল মাশরুম। মাশরুমে মাংস, বিনস এবং বিভিন্ন রকম সবজির গুণাগুণ বিদ্যমান। তো এই মাশরুম এখন চারদিকে যথেষ্ট জনপ্রিয় খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। বর্তমানে অনেক জায়গাতেই মাশরুমের চাষ হয়। এই চাষ যথেষ্ট লাভজনক। এবারে ঝাড়গ্রামের লোধা-শবরদেরকেও এই মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
বাড়িতেই মাশরুম তৈরী করতে পারবেন লোধা-শবর মহিলারা। প্রসঙ্গত গত বছর ৭জন শবরের মৃত্যুর পর পুরো জনগোষ্ঠীটির সামগ্রিক উন্নয়নে সচেষ্ট হয়েছে প্রশাসন। মাশরুম চাষে শবরদের যুক্ত করা, সেই কর্মসূচিরই অঙ্গ। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি জানান, আনন্দধারা প্রকল্পে লোধা-শবরদের স্বনির্ভর দলগুলি নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তারপর উদ্যান পালন দফতরের মাধ্যমে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ এবং আদিবাসী উন্নয়ন দফতরের মাধ্যমে প্রতিটি দলকে ১লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। যা দিয়ে মহিলারা মাশরুম তৈরির পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারবেন। মাশরুম তৈরির উপকরণ হল, খড়, মাশরুম বীজ, জল, চটের বস্তা ও পলিথিন। সহজলভ্য ওই উপকরণগুলি দিয়ে একমাসের মধ্যেই মাশরুম তৈরী করা যাবে নিজের বাড়িতে। আগে জঙ্গল থেকে কুড়িয়ে এনে বছরে তিনবার বাজারে বিক্রি করতেন লোধা-শবর মহিলারা। ১কেজি মাশরুম বিক্রি করলে ২৫০-৩০০ টাকা রোজগার হতো। এখন থেকে সারা বছর মাশরুম বিক্রি করতে পারলে ভালো আয় হবে। জেলাশাসক আরও বলেন, আগামী দিনে শবরদের তৈরী মাশরুম বিক্রি করার জন্য সরকারিভাবে সহায়তা করা হবে। এর ফলে তারা মাশরুম বিক্রি করে স্বনির্ভর হতে পারবেন। এইভাবে যদি বিভিন্ন গ্রামে সরকারি তরফে এমনভাবেই উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে পিছিয়ে থাকা গ্রামগুলি এবং উপজাতি এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট স্বনির্ভর হতে পারবে।