তাপমাত্রা কমছে শরীরের

যত দিন এগোচ্ছে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা| ১৮৫১ সাল থেকে মানবশরীরের গড় তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বলা হয়েছিল| চিকিত্সাবিজ্ঞানেও এই পাঠকেই ধ্রুবক মেনেই চিকিত্সা এগিয়েছে এতদিন| কিন্তু সবকিছুতেই আসতে চলেছে পরিবর্তন|

আগে থেকেই বিজ্ঞানীরা আশংকা করেছিলেন যে, শরীরের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে| এই আশংকা থেকেই গবেষকরা মোট তিনটি ধাপে সমীক্ষা করেন| ২৩,৭১০টি রিডিং নেওয়া হয় ১৮৬২ থেকে ১৯৩০ সালের অভিজ্ঞ গৃহযুদ্ধের যোদ্ধাদের থেকে, পরবর্তী রিডিং নেওয়া হয়েছিল ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে ১৫,৩০১ জনের কাছ থেকে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভেতে, সর্বশেষ রিডিং নেওয়া হয় স্ট্যান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডেটাবেস থেকে ১,৫০,২৮০ জনের থেকে তাও আবার ২০০৭ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে| এই গবেষণা আজও সম্পূর্ণ শেষ হয়নি| এই সমীক্ষা থেকেই জানা গেছে, যেসব পুরুষ ২০০০ এর সময় জন্ম নিয়েছে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মূলত ১.০৬ ডিগ্রি কম রয়েছে সেইসব মানুষের থেকে যারা ১৮০০ সাল নাগাদ জন্ম নিয়েছেন| এরফলে বোঝা যাচ্ছে, দিন যত এগোচ্ছে তাপমাত্রা তত ধীরে ধীরে কমতে শুরু করছে| একইভাবে দেখা গেছে, যেসব মহিলা ২০০০ সালের মধ্যে জন্মেছেন তাদের শরীরের তাপমাত্রা ১৮০০ সালের জন্ম নেওয়া মহিলাদের থেকে ০.৫৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট কম|

সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতি জন্মদশক অনুযায়ী ধীরে ধীরে বডি টেম্পারেচার ০.৩ ডিগ্রি থেকে ০.৫ ডিগ্রি হারে কমতে থাকে| নানা ধরনের প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে যে আলাদা রিডিং আসছে, এই তথ্যও সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে বিজ্ঞানীগণ| তবে ঠিক কি কারণে এই পরিবর্তনটি হচ্ছে তা এখনও জানতে পারেনি বিজ্ঞানীগণ| জানা গেছে, ৯৭.৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা কেই এখন স্বাভাবিক তাপমাত্রা হিসেবে গন্য করা হচ্ছে|এর ফলে এরপর থেকে ৯৮.৬ ডিগ্রীকে জ্বর বলেই ধরা হবে|

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...