বরফের মতো সাদা দাড়ি , ধবধবে ফর্সা মুখ, গোলাপী গাল, মোটা চেহারা। হাসি মুখ দেখলেই মন ভাল হয়ে যায় মুহুর্তে। লাল জোব্বা-পাজামা। পিঠের থলিটাও লাল রঙের।
এবার চোখ বন্ধ করে সান্টাক্লজকে অন্যভাবে ভাবার চেষ্টা করুন। বেশিরভ আগ উত্তরই আসবে ‘অসম্ভব’!
কিন্তু লাল রঙিন সান্টার এই রূপ আগে এরকম ছিল না। অনেকটা চার্চ বিশপদের সাদা-সবুজ পোশাকে দেখা যেত ‘ফাদার নিকোলাস’কে। সাদা পোশাকে।
বদলটা এল ১৯৩০ সালের ক্রিসমাসের পর। ক্রিসমাসের খবর নিয়ে আসা এই বুড়ো মানুষটিকে অন্যভাবে চিনতে শিখল পৃথিবী। সে বছর আমেরিকার একটি পানীয় সংস্থা ঠিক করল সে বছর তারা ক্রিসমাস সেলিব্রেট করবে একেবারে অন্যভাবে। পানীয়ের যেমন রং ঠিক তেমন রঙের পোশাক উঠল সান্টাবুড়োর গায়ে।
চার্চরুমের গুরু গম্ভীর ফাদার ক্রিসমাস বদলে গেলেন ঝলমলে হাসির সান্টাক্লজে। সেভাবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন প্রাচীন এই বুড়ো মানুষটি। নিছক এক বিপণন কৌশল বদলে দিল ক্রিসমাসের সামগ্রিক সংস্কৃতিটাকেই।
হ্যাডন স্যান্ডব্লুম ইলাকস্ট্রেশন করেছিলেন সান্টাক্লজের। প্রতিটা ছবির জন্য তাঁকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ডলার। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে টাকার এই অঙ্কটা সামান্য মনে হতে পারে, কিন্তু সেই সময় আমারিকায় ৭০০ ডলার দিয়ে কিনে ফেলা যেত ব্যক্তিগত গাড়ি।
শোনা যায় ক্লিমেন্ট ক্লার্ক মুরের লেখা ‘ অ্যা ভিজিট ফ্রম নিকোলাস’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন হাসিখুশি সান্টার ছবি এঁকেছিলেন।
তবে পানীয় সংস্থার বিজ্ঞাপণ প্রচার থেকেই আজকের সান্টার ধারণা এসেছে এই মত অনেকেই মানতে রাজী নয়। ১৯২৩ সালে একটি ম্যাগাজিনে প্রথম সান্টার ‘জলি ফেলো’ চেহারা সামনে এসেছিল। তারও আগে ‘নিউইয়র্ক হেরল্ড’এ। তবে সেই সান্টার সঙ্গে রেনডিয়ার, স্লেজগাড়ি বা উপহারের থলির মতো অনুষঙ্গগুলো ছিল না।
(ছবিঃ প্রতীকী)