যত দিন যাচ্ছে আমাদের পরিবেশ, তত বিষাক্ত হয়ে উঠছে- তা আমরা বার বার আলোচনা করি এবং তার বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তার চিন্তা ভাবনা করি। এই রকমই আরও একটি ব্যাপারে আমরা কাজ করতে চলেছি, যা আপনাদের আজ জানাবো। আমাদের শহরের ইকো পার্কের নামের মধ্যেই রয়েছে পরিবেশ সহায়ক ভাবনার প্রকাশ। এই পার্কের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল চারিদিকের সবুজায়ন। গাছ, হ্রদ, শস্যক্ষেত নিয়ে পরিপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রের সহায়ক পরিবেশ গড়ে উঠেছে এই পার্কে। সেখানে এবারে সংযোজন হতে চলেছে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। জমি দিয়েছে হিডকো। সেই জমিতে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি গড়ে তুলছে রাজ্যের প্রথম সোলার ডোম। অর্ধ গোলাকার সেই নির্মাণের ওপরে থাকছে সোলার প্যানেল। ভেতরে ন'তলা সমান উঁচু ভিউয়িং গ্যালারি থেকে ইকো পার্ক চত্বর দেখার সুযোগ আসতে চলেছে শহরের মানুষদের জন্য।
কাজ চলছে দ্রুত গতিতেই। মূল কাঠামোর অনেকটাই হয়ে গিয়েছে। উপরে থাকা সোলার প্যানেল থেকে ১৫০ কিলো ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে। সেই বিদ্যুৎ ইকো পার্কেও কাজে লাগানো হবে এবং বাইরেও ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানির এক আধিকারিকের কাছ থেকে জানা গেল, ডোমটির ব্যাস ৪৬ মিটার, উচ্চতা ২৭ মিটার এবং মোট ২.৮৯ একর জায়গা জুড়ে ডোমটি গড়ে উঠছে। এর ভেতরে বিভিন্ন তলায় বিশ্ব উষ্ণায়নের বিষয়ে প্রদর্শনী থাকবে। অপ্রচলিত শক্তির বিষয়ে সচেতনতা বিষয়ক নানারকম জিনিস থাকবে, ছবি থাকবে, বিজ্ঞানভিত্তিক গ্রাফিক্স থাকবে। ভেতরে বিভিন্ন তলায় যাওয়ার জন্য লিফট থাকছে। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিনসিটি মিশন প্রকল্পের সঙ্গে এটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। রাজ্যের বিদ্যুৎ বন্টন নিগমের এক উচ্চ পদাধিকারী জানান, আগামী দূর্গাপূজোর আগেই স্টিলের কাঠামো তৈরির কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আগামী শীতের মরশুমের আগেই সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে এই সোলার ডোম। সারা পৃথিবী জুড়েই যখন সোলার বিদ্যুৎ তৈরির তোড়জোড় চলছে, তখন ইকো পার্কের মত বিস্তৃত এলাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যথেষ্ট পরিবেশ সহায়ক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।