রাজ্যের বিভিন্ন ব্যারেজের মধ্যে দুর্গাপুর ব্যারেজ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যারেজ। এটির নির্মাণকাল বেশ কিছুদিন আগের হওয়ায়, মাঝে মাঝেই সমস্যার সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালে এই ব্যারেজের একটি লক গেট ভেঙে গিয়ে ব্যারেজ থেকে জল বেরোতে থাকে। সেই কারনে ব্যারেজটি জলশূন্য করে দিতে হয়। ফলে শহরজুড়ে জলের আকাল দেখা দিয়েছিল। এখানকার অধিকাংশ লকগেটই ৬২ বছরের পুরোনো বলে সেগুলির ক্ষমতা কমে গিয়েছে। তারপরেই সেচদফতর ব্যারেজ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এই খাতে প্রায় ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখানকার পুরনো লক গেটগুলিও ধাপে ধাপে বদলানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১১ টি নতুন লকগেট বসানো হবে বলে সেচদফতর সূত্রে জানা গেছে। সংস্কারের কাজ হয়ে গেলে এই জলাধারের জলধারণ ক্ষমতাও বেড়ে যাবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। সর্বভারতীয় একটি সংস্থা এই কাজ দুবছর ধরে করবে। মূলত ব্যারেজের নিচের অংশের কাজ সম্পন্ন করা হবে। বাইরে থেকে পাথর এনে এদিকের অংশ বাঁধানো হবে। এছাড়া লকগেটের কাছেও পাথর বসিয়ে সংস্কারের কাজ করা হবে। ব্যারেজের বেশ কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেগুলির মেরামত করা হবে। এছাড়াও আরও বেশি অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যারেজে বসানো হবে, যাতে জল ছাড়ার ব্যাপারে আরও মজবুত করে কাজ করা যায়। তবে এখানে জলাধারের নাব্যতা বাড়ানোর কাজ করা হবেনা। সেচ দফতরের এক আধিকারিক বলেন, এক সময় এটি কেন্দ্রীয় সরকার দেখাশোনা করত, কিন্তু এখন দেখভালের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপরেই ন্যস্ত হয়েছে। ফলে রাজ্য সরকারই পুরো টাকা খরচ করে তার সংস্কার করার দায়িত্ব নিয়েছে। সংস্কারের পর দুর্গাপুর ব্যারেজের রূপ আমূল পাল্টে যাবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকেরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এখানকার জল থেকে শুধু শহরের নয়, আশপাশের গ্রামগুলিতেও চাষের কাজের জল যায়। ব্যারেজটি সংস্কার হলে জলের অপচয় বন্ধ হবে।