ভারতীয় বক্সিংয়ের পোস্টার বয়

২০২১ র মার্চ মাসে রাশিয়ার আর্টিশ লোপসানের কাছে হারের পর থেকে দীর্ঘ দিন রিংয়ে দেখা যায়নি বিজেন্দ্র সিংকে। দেড় বছর পরে অবশেষে প্রো-বক্সিংয়ে ফিরেছেন তিনি। আর ফিরেই আগস্ট মাসে প্রথম ম্যাচে ঘানার বক্সার এলিয়াসু সুলেকে নকআউট করলেন ভারতীয় বক্সার।

ছত্তীশগড়ের রাইপুরে বলবীর সিংহ জুনেজা স্টেডিয়ামে খেলতে নামেন বিজেন্দ্র। ছ'রাউন্ডের মধ্যে মাত্র দু'রাউন্ডই টিকতে পারেন সুলে। ম্যাচ জিততে মাত্র পাঁচ মিনিট সাত সেকেন্ড সময় লাগে ভারতের হয়ে অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ জয়ী বিজেন্দ্রর। খেলার শুরু থেকেই একের পর এক ঘুষি আছড়ে পড়তে থাকে সুলের উপর। কোনও জবাব ছিল না ঘানার বক্সারের কাছে। প্রথম রাউন্ড কোনও রাউন্ডে টিকলেও দ্বিতীয় রাউন্ডে আর পারেননি সুলে। বিজেন্দ্রর সামনে হার স্বীকার করেন তিনি।

Vijender Singh

২০১৫ সালে প্রো-বক্সিংয়ে নামার পর থেকে এখনও পর্যন্ত মোট ১৩টি ম্যাচ খেলেছেন বিজেন্দ্র। তার মধ্যে ১২টি ম্যাচ জিতেছেন তিনি। সব ক'টিই নকআউটে। ভারতে ছ'বার খেলতে নেমে ছ'বারই জিতেছেন ভারতীয় বক্সার।

ম্যাচ জিতে বিজেন্দ্র বলেন, ''রিংয়ে ফিরতে পেরে খুব ভাল লাগছে। জয় দিয়ে শুরু করলাম। সুলের বিরুদ্ধে খেলা সহজ ছিল না। এক সপ্তাহ বিশ্রাম নেব। তার পরে আবার অনুশীলন শুরু করব। ডিসেম্বর বা জানুয়ারি মাসে আবার লড়তে নামব।''

২০১৯ এর ডিসেম্বর নিশ্চই সবার মনে থাকবে। তখন সামনে আফ্রিকান চ্যালেঞ্জ। ঘানার বক্সার আর্নেস্ট আমুজু। যিনি আগেই হুঙ্কার দিয়েছিলেন, তাঁর ভারতীয় প্রতিপক্ষকে মেরে শুইয়ে দেবেন। সেইসময় বিজেন্দ্রর প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ জিতে এসেছিলো (২৫টি বাউটে ২৩টি জয়)। খেলতে নামার আগে এক সাক্ষাৎকারে বিজেন্দ্র বলেছিলেন, "আমি তৈরি যে কোনও চ্যালেঞ্জের জন্য। আমার ওজন ঠিক আছে। স্পারিং পার্টনার ভাল পেয়েছি। প্রস্তুতিতেই মনে হচ্ছে যেন আসল বাউট লড়ছি। আমি এখন দিল্লিতে। এখানে সব রকম ব্যবস্থা আছে। প্রস্তুতিতে কোনও সমস্যা নেই।"

তখনকার প্রতিদ্বন্দ্বী, ঘানার আর্নেস্ট আমুজু হুঙ্কার দিয়েছিলেন, ঘরের মাঠে উনি বিজেন্দ্রকে দাঁড়াতে দেবেন না। মেরে শুইয়ে দেবেন। এই বিষয়ে বিজেন্দ্র বলেছিলেন, "আমি ওর কথাগুলো শুনেছি, আর শুনে আমার হাসি পাচ্ছে। ও আমাকে চেনে না। ওকে ওর মতো কথা বলতে দিন। আমুজু-কে একবার ভারতে আসতে দিন। তার পর বুঝিয়ে দেব, বিজেন্দ্র সিং নামটার ওজন কত।"

হ্যাঁ, বিজেন্দ্র সিং নামটার ওজন কত তা ঘানার আফ্রিকান বক্সাররা বারবার টের পায়। এই বারও, সেই বারেও। সেইবার জয়পুরের সওয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে দশ রাউন্ডের বাউটে পয়েন্টে জিতে ছিলেন বিজেন্দ্র। এই নিয়ে পেশাদারি লড়াইয়ে দশের মধ্যে দশটা লড়াই-ই জিতেছিলেন ভারতের এই অলিম্পিক্স পদকজয়ী বক্সার।

পুরো লড়াইয়েই দাপট ছিল ভারতীয় বক্সারের। বিচারকদের সবার রায়ই গিয়েছে বিজেন্দ্রর পক্ষে। ঘানার আমুজু লড়াইয়ের আগে হুঙ্কার দিয়েছিলেন, রিংয়ে মেরে শুইয়ে দেবেন বিজেন্দ্রকে। এও বলেছিলেন, ভারতীয় দর্শকদের সামনে তাঁদের নায়ককে হারিয়ে রিং ছাড়বেন। আমুজু শুরুটা খারাপ করেননি। যথেষ্ট আগ্রাসী ছিলেন প্রথম রাউন্ডে। কিন্তু তার পর থেকে আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে বিজেন্দ্রর দাপট।

ষষ্ঠ রাউন্ড থেকে লড়াইটা নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন বিজেন্দ্র। তাঁর বেশ কয়েকটা জোরালো ঘুসি খুঁজে পায় আমুজুর পাঁজর। পরের রাউন্ডগুলোয় পাওয়া যায় আরও আক্রমণাত্মক বিজেন্দ্রকে। তাঁর একটার পর একটা ঘুসির জবাব ছিল না আফ্রিকান বক্সারের কাছে। শেষ দিকে আমুজু ফিরে আসার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। শেষ রাউন্ড শুরুর আগে পেশিতে টান ধরায় আর ঝুঁকি নেননি বিজেন্দ্র। ততক্ষণে অবশ্য লড়াইয়ের ভাগ্য ঠিক হয়ে গিয়েছে। একটা সময় বিজেন্দ্রর নামই হয়ে গিয়েছিল 'নক আউট সিং'।

মহম্মদ আলি তাঁর প্রেরণা। ছোটবেলা থেকেই মহম্মদ আলির জীবনী উল্টেপাল্টে পড়েছেন। আলির সিনেমা, ভিডিও এবং ছোট ছোট ক্লিপিং দেখে মুগ্ধ হয়েছেন ভারতের একমাত্র পেশাদার বক্সার বিজেন্দ্র সিং। তাঁরই অনুপ্রেরণা নিয়ে প্রো-বক্সিংয়ে আসা বি়জেন্দ্রর।

vj_59885e24a65e1

প্রো-বক্সিংয়ে উল্কার গতিতে প্রবেশ বিজেন্দ্র সিং-এর। তখন শুরুর দিক। দেশের সমথর্কদের সামনে খেলতে নামার আগে একটা সাক্ষাৎকারে ভারতের পেশাদার বক্সার জানিয়েছিলেন, ''নিজের দেশের সমথর্কদের সামনে সম্ভত ১১ বা ২০ জুন লড়ব। সেটা ভেবেই আমার রোমাঞ্চ হচ্ছে। জানি দেশবাসী আমার ওই লডাইয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবেন। প্রতিজ্ঞা করছি, আমি তাঁদের নিরাশ করব না। আর মনে রাখবেন বিশ্বে আমি অন্য এক মহম্মদ আলি না হতে পারলেও এশিয়ার মহম্মদ আলি অবশ্যই হতে চাই''।

মাইক টাইসনের মতো মহাতারকাকে তুলেছে যে বক্সিং প্রোমোশন সংস্থা, তাদের সঙ্গে চুক্তি সই করেছেন বিজেন্দ্র। রিও অলিম্পিকের মাত্র এক বছর বাকি থাকতে মিডলওয়েট বক্সিংয়ে দেশের সবচেয়ে বড় পদক আশার সিদ্ধান্তে বেশ হতবাক হয়েছিল ভারতীয় ক্রীড়া মহল।

বিজেন্দ্র নিজে অবশ্য লন্ডনের সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছিলেন, বক্সিংয়ে দেশকে আরও সম্মান এনে দেওয়ার লক্ষ্যেই তাঁর এই পদক্ষেপ। বলেছিলেন, ''পেশাদার বক্সিং জীবনের একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিল। তবে পেশাদার হিসাবেও আমার চেষ্টা থাকবে পারফরম্যান্স দিয়ে দেশের নাম উজ্জ্বল করা। সেই লক্ষ্যে কঠোর অনুশীলনে নেমে পড়েছি।'' রিও গেমসে তেরঙ্গা নিয়ে নামতে না পারার কোনও আফসোস ছিল না ভারতীয় বক্সিংয়ের পোস্টার বয়-এর। বরং বলেছিলেন, ''একদম ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্ত নিলাম।''

বিজেন্দ্রর জন্ম হরিয়ানার ভিওয়ানি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে কালুওয়াস গ্রামের একটি জাট পরিবারে। বাবা মহিপাল সিং বেনিওয়াল, হরিয়ানা রোডওয়েজের একজন বাস চালক, মা একজন গৃহিনী। বিজেন্দ্র এবং তার বড় ভাই মনোজের পড়াশোনার জন্য তাদের বাবা ওভারটাইম বাস চালাতেন।

তাদের দরিদ্র পরিবারের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করার জন্য, বিজেন্দ্র বক্সিং শেখার সিদ্ধান্ত নেন। বিজেন্দ্রর বড় ভাই মনোজ, নিজে একজন প্রাক্তন বক্সার।  মনোজ ১৯৯৮ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে প্রবেশের পর, তিনি বিজেন্দ্রকে আর্থিকভাবে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নেন যাতে বিজেন্দ্র তার বক্সিং প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে পারেন। বিজেন্দ্রর বাবা-মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাকে চাপ দেবেন না, কারণ তাঁরা অনুভব করেছিলেন যে বক্সিংয়ের প্রতি তাঁর  প্রতিভা এবং আবেগ রয়েছে। বিজেন্দ্রর তাঁর বক্সিং আগ্রহ এবং আবেগ থেকে কেরিয়ার পছন্দের দিকে দ্রুত বেড়ে ওঠে।

২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকের জন্য বিজেন্দ্রর প্রস্তুতির মধ্যে ছিল সেই বছরের শুরুর দিকে যখন তিনি জার্মানিতে জার্মান বক্সারদের সঙ্গে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এই প্রশিক্ষণে ইউরোপের আশেপাশের বক্সারদের অংশগ্রহণে একটি টুর্নামেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যার একটি ইভেন্টে সিং একজন জার্মানকে পরাজিত করে স্বর্ণ জিতেছিলেন।

প্রেসিডেন্ট কাপ বক্সিং টুর্নামেন্টে, যাকে অলিম্পিক গেমসের ড্রেস রিহার্সাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, বিজেন্দর কোয়ার্টার ফাইনালে আর্তায়েভকে পরাজিত করেন। এর পরে কথা বলতে গিয়ে বিজেন্দ্রকে আত্মবিশ্বাসী বলে মনে হয়েছিল। বেইজিং অলিম্পিকের জন্য তার প্রস্তুতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিজেন্দ্র বলেছিলেন, "আমি শেষবার ভাল করতে পারিনি কারণ, তখন আমি তরুণ ছিলাম এবং আমার অভিজ্ঞতা ছিল না। আমি সবেমাত্র সিনিয়র লেভেলে পৌঁছেছি এবং অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছি। এখন আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমি বড় টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি। এশিয়ান গেমস এবং কমনওয়েলথ গেমস। সম্প্রতি, আমি ২০০৪ অলিম্পিক গেমসের স্বর্ণপদক বিজয়ী আর্তায়েভকে [AIBA প্রেসিডেন্ট কাপে] পরাজিত করেছি, তাই আমি আন্তর্জাতিক স্তরে বেশ ভাল করেছি। তাই, অবশ্যই, সবাই ভাল আশা করতে পারে। বেইজিংয়ে আমার কাছ থেকে দেখা যাচ্ছে।"

পরে আরও যোগ করে বলেছিলেন, "আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়মিত প্রতিযোগিতা করার পর এখন আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমি শুধু বলতে চাই ভারতীয় বক্সাররা এখন আর দুর্বল নয়; সবাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো করছে। আমাদের বক্সিং গ্রাফ সব সময় উপরে উঠছে, এবং বাকি বিশ্ব এখন ভারতীয় বক্সারদের মুখোমুখি হতে ভয় পায়।"

২০০৮-এর অলিম্পিকে তিনি বাদু জ্যাককে ১৩-২ তে, রাউন্ড অফ ৩২-এ পরাজিত করেন। ১৬-এর রাউন্ডে, তিনি থাইল্যান্ডের চমফুফুয়াংকে ১৩-৩-এ হারিয়ে মিডলওয়েট বক্সিং কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছান। কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের সাউথপা কার্লোস গোঙ্গোরাকে ৯-৪ ব্যবধানে পরাজিত করেন। এই জয়ের ফলে তিনি প্রথম ভারতীয় বক্সার যিনি অলিম্পিক পদক নিশ্চিত করেন। সেমিফাইনালে কিউবার এমিলিও কোরেয়ার কাছে তিনি ৫-৮এ হেরে যান এবং ভারত তার প্রথম বক্সিং-এর ব্রোঞ্জ পদক পায়। পরের বছর ২০০৯ সালে সুশীল এবং বক্সার মেরি কমের সঙ্গে বিজেন্দ্রকে ভারতের সর্বোচ্চ ক্রীড়া সম্মান মেজর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কার প্রদান করে ভারত সরকার।

রিও অলেম্পিক থেকে নিজে আর অলেম্পিক প্রতিযোগীতায় না নামলেও অলিম্পিকে খেলা ভারতীয় বক্সারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিজেন্দ্র চিরকালই চিন্তিত। একবার বলেছিলেন, ''শিবা থাপা, বিকাশ কিষণদের কথা কেউ ভাবে না। রিও অলিম্পিকের আর বেশি দেরি নেই। অথচ তা নিয়ে আমাদের বিভক্ত ফেডারেশনের কোন হেলদোল নেই। ভাগ্যিস আমি পেশদার বক্সার হয়েছি। তা না হলে তো আমারও হাল শিবা থাপাদের মত হত। বক্সিংয়ে ভারতের ফেডারেশনের কবে চৈতন্য হবে তা কেবল ভগবানই জানেন। না, না, এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত। আর তা না হলে বক্সাররা আমারই মতন প্রো-বক্সিংয়ে চলে আসবে। তাহলে অলিম্পিক পদক আর আসবে না। সেটা সরকারের ভেবে দেখা দরকার।''

কোভিডের সময় দিল্লি-হরিয়ানার সংযোগস্থল সিঙ্ঘু সীমানায় সিঙ্ঘু সীমানায় চলছিল কৃষক আন্দোলন। অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন হাজার হাজার কৃষক। সেখানে গিয়েও আন্দোলকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ান অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার। সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকার বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে খেলরত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেবার কথাও বলেন তিনি। নিজে সিঙ্ঘু সীমানায় হাজির হন।

বক্সিং রিং থেকে বেরিয়ে শেষ লোকসভা নির্বাচনে জীবনে প্রথম বার ভোটের লড়াইয়ের ময়দানে নামেন বিজেন্দ্র সিংহ। কখনও দিল্লির রাস্তা থেকে নিজের গাড়িতে বসে ফেসবুক লাইভ করেছেন। কখনও গলি বা পার্কের ধারে স্তূপীকৃত জঞ্জাল সাফাইয়ে হাত লাগিয়েছেন। সেই সঙ্গে এ কথা জানাতেও ভোলেননি— ''আমি রাজনীতিতে এসেছি মানে এই নয় যে, বক্সিং ছেড়ে দেব!

শুধু বক্সিং রিং নয়, যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে বিজেন্দ্র যে ভালবাসেন। বাড়িতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ, অলিম্পিক্স, এশিয়ান গেমসের পদক রয়েছে তাঁর। বিপাশা বসু তাঁর গুণমুগ্ধ। অভিনয় করেছেন বলিউডেও।

বিজেন্দ্র কলকাতায় পেশাদার বক্সিং ম্যাচ আয়োজনের চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন তিনি। বছর পাঁচেক আগে এক সকালে কলকাতায় এসে বিজেন্দ্র ঘোষণা করেন, ''কলকাতা খেলার শহর। ফুটবল, ক্রিকেট, হকির অনেক তারকাই জন্ম নিয়েছেন এই শহরে। এখানকার মানুষও খেলা ভালবাসে। তাই এ বার আমার লক্ষ্য, কলকাতায় পেশাদার বক্সিংয়ের কোনও ম্যাচ আয়োজন করা। কথাবার্তা চলছে।''

রিং হোক বা রিং-এর বাইরে বারবার চ্যালেঞ্জ নিতেই ভালোবাসেন ভারতীয় বক্সিংয়ের পোস্টার বয়। ভয় নেই তাঁর। আছে জেতার খিদে।

 

নিবন্ধকারঃ ঋদ্ধি রিত

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...