যেখানে রামায়ন রচিত হয়েছিল

বাংলা সাহিত্যের কবি কৃত্তিবাসের লেখা 'রামায়ণ'- একথা সকলেরই জানা। তবে রচয়িতা কোথায় এই গ্রন্থের রচনা করেন সেই বিশেষ স্থানটির কথা হয়তো সঠিক ভাবে অনেকেরই জানা নেই। পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার বয়রা নামক গ্রামের প্রকান্ড আকৃতি বিশিষ্ট একটি বট গাছের তলায় বসে কৃত্তিবাস রামায়ণ রচনা করেন।

    এই গ্রামের বট গাছটি রামায়ণ রচনার প্রধান সাক্ষী। ফলকে লেখা আছে এখানে বসে তিনি বাংলা ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলেন। তাই এই স্থানের গুরুত্ব অন্য রকম। এছাড়া এই বিশেষ গাছটির পাশেই গড়ে উঠেছে  কৃত্তিবাস স্মারক গ্রন্থাগার ও সংগ্রহশালা। আর এই বিশেষ গ্রন্থাগারে নানা ভাষায় লেখা রামায়ণ সংগ্রহ করা আছে। যেমন ধরুন  ইংরেজি, সংস্কৃত, হিন্দি, অসমিয়া, মৈথিলি, ওডিয়া, গুজরাটি, এমনকি ত্রিপুরা ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায়। এই গ্রন্থাগারে ২০০০ এর বেশি রামায়ণ ও রামায়ণ বিষয়ক বই আছে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে রামায়ণ সম্পর্কিত যে সমস্ত প্রবন্ধ জার্নালে প্রকাশিত হয় তাও এখানে সংগ্রহ  করে রাখা আছে। খুব ভালো লাগার বিষয়, এই সংগ্রহশালায় প্যারিসের জাতীয় গ্রন্থাগারের অনুলিপিত কৃত্তিবাসী রামায়ণ পুঁথির মাইক্রো ফিল্ম ও জেরক্স আছে। এই বিশেষ গ্রন্থাগারটির দায়িত্বে আছেন  শান্তিপুর গ্রন্থাগারিকেরা। তাই বলা যায় বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ স্থান হল ফুলিয়া ও এই গ্রন্থাগারটি। তবে এই গ্রন্থাগারটির পাশেই অবস্থিত কবির সমাধির স্মারক। কবির জন্ম স্থানের উপর এক বিঘা জমি নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে স্মারকটিকে। এই বিশেষ স্থানটির কথা হয়তো অনেকেরই জানা, আবার অনকের কাছে একটু অপরিচিত। তাই আমরা এই ঐতিহাসিক স্থানটির কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরে আপনাদের তৈরী করা ভ্রমণের তালিকায় যুক্ত করলাম।

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...