আপনি কি জানেন পেটিএম সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিজয়শেখর শর্মা ক্লাস টুয়েলভের পর জীবনে মাত্র দুটি বই পড়েছেন! তাঁর নাকি বইপড়ার অভ্যাসটাই কোনওদিন ছিল না! অনলাইনে টাকা লেনদেনের সময় প্রথম যেই মাধ্যামের কথা মনে পরে সবার, সেটা হল পেটিএম।
অনেকেই মনে করেন, যাদের প্রচুর পড়ার অভ্যাস আছে, তারা জীবনে তুলনামূলকভাবে বেশি সফল হয়। কারণ বই মানুষের জীবনে গাঢ় প্রভাব ফেলে। স্বভাব-পড়ুয়া মানুষদের জানার পরিধি বহু, সেই জোরেই কাজের দুনিয়াতেও অন্যদের চেয়ে তারা এগিয়ে থাকে।
কেবন বই পড়লেই সব জানা যায়, বই-ই একমাত্র সাফল্যের চাবিকাঠি- প্রচলিত এই ধারণায় ধাক্কা দিয়েছেন পেটিএমকর্তা।
বিজয়শেখর শর্মাকে টুইটে বলা হয়েছিল এমন ১০ টি বইয়ের তালিকা দিতে যেগুলি যে কোনও মানুষের ৪৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই পড়ে ফেলা উচিত৷ তার উত্তরেই তিনি সাম্প্রতিক টুইট করে জানিয়েছেন যে, ক্লাস টুয়েলভের পর এখনও পর্যন্ত জীবনে তিনি মাত্র দুটি বই পড়েছেন। একটি হল 'স্টিভ জোবস-এর জীবনী' এবং আরেকটি বই হল 'স্ট্রেইট ফ্রম গাট’। তিনি বলেছেন যে তাঁর বই পড়ার অভ্যাসটা খুবই খারাপ। ভাষার সমস্যাও বইপড়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। জীবনে তিনি অনেক পরে ইংরেজি বই পড়েছেন৷ তবে তিনি আশা রাখেন, আগামী দিনে ভাল ভাল বই পড়বেন৷
পেটিএম সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা বিজয়শেখর শর্মা টুইটে লেখেন, ‘‘আমি সত্যি খুব খারাপ বই পড়ার অভ্যাসে৷ সবে ৪৫ বছর বয়স হয়েছে আমার৷ এবং আমি ‘সাইকোলজি অব মানি’ বইটির কিছু অংশ পড়েছি মাত্র৷ সত্যি কথা বলতে কী, ক্লাস টুয়েলভের পর থেকে আমি কেবল দুটো বই সম্পূর্ণ পড়েছি৷ স্টিভ জোবসের জীবনী এবং ‘স্ট্রেট ফ্রম গাট’৷ আমি যখন স্কুলে ছিলাম, দিদিদের বিএ এমএ ক্লাসের বই পড়তাম৷ যেগুলির সঙ্গে আমার বিষয়ের কোনও সম্পর্কই ছিল না৷"
তাঁর এই টুইটে নেটিজেনরা বিভিন্ন রকমের মতামত দিয়েছেন৷ বইপ্রেমীরা তাঁকে বলেছেন যে বই পড়ার অভ্যাস শুরু করার কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না। যে কোনও বয়সেই শুরু করা যায়৷ অনেকেই তাঁকে বই ‘সাজেশন’ দিয়েছেন। নেটিজেনরা কমেন্টে জানিয়েছেন, আশা করা যায় ভবিষ্যতে বিজয়শেখর তাঁদের সঙ্গে বই পড়ার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেবেন৷