প্রেমের ব্যথা

 

"এ ব্যথা কি যে ব্যথা বোঝে কি আনজনে/ সজনী আমি বুঝি মরেছি মনে মনে"....... হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের এই গানটিই বোধহয় প্রেমে ব্যথা পাওয়া মানুষদের জাতীয় সঙ্গীত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যিই, মানুষের এই ছোট্ট জীবনে যখন প্রেমের হাওয়া আসে দখিনা বাতাসের মতো তখন খোলা আকাশে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে উড়ে বেড়ায় সেই মানুষের মন। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠূর পরিহাস, সবসময় সেই প্রেম টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। তাই মন ভাঙতে বাধ্য। আর এই ভাঙা মন নিয়ে জীবনের পথে এগিয়ে চলাই তখন হয়ে দাঁড়ায় সেই মানুষের একমাত্র লক্ষ্য বলা ভাল একমাত্র চ্যালেঞ্জ।

"প্রেম বড় মধুর, কভু কাছে কভু সুদূর".... কথায় বলে, প্রেম মানুষকে অনেককিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়। প্রেম যেমন জীবনে অনেককিছু দিয়ে যায় সেরকম প্রেম একজন ব্যক্তির জীবন থেকে অনেককিছু নিয়েও যায়। সেরকমই প্রেম এক ব্যক্তির জীবন থেকে নিয়ে গেছে স্নানকে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। স্নানের কথাই বলছি। জানেন কি? প্রেমে ব্যথা পেয়ে ৬০ বছর ধরে স্নান ছেড়ে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। চলুন, সেই ব্যক্তির কথাই আজ জানা যাক। দক্ষিণ ইরানের ফারস জেলার একটি গ্রাম 'দেজগা' সেখানেই থাকেন ৮০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আমু হাজি। যৌবন থাকাকালীন মদনদেবের কুসুমবনের আঘাতে প্রেমের পথে চলা শুরু করেন সেই ব্যক্তি। কিন্তু বিপরীত পাশে থাকা মানুষটির গায়ে সেই বনের আঁচড়ও পড়েনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন ভেঙে যায় তার। আর এই মন ভাঙার কষ্টে স্নান করাটাই ছেড়ে দেন সেই ব্যক্তি।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আজও সেইখানেই থাকেন এই মহান ব্যক্তি। সেখানকার স্থানীয় লোকজন জানান, আজ পর্যন্ত তার গায়ে জলের বিন্দু পর্যন্ত পড়তে দেখা যায়নি। চুল বা নখ কাটারও কোনো বালাই নেই। চুল বেশি বড় হয়ে গিয়ে যখন অসুবিধার কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন আগুন জ্বেলে সেই চুল পুড়িয়ে নেন। এইভাবেই দিন কাটছে তার। তবে প্রেমের আঘাত সহ্য করতে না পেরে যে কেউ স্নান ছেড়ে দিতে পারে এরকম নজির কিন্তু প্রথমবার দেখা গেলো। এর আগে একজন ব্যক্তি বিশ্বের সবচেয়ে নোংরাতম ব্যক্তির তখমা পেয়েছিলেন। এবার তাকেও ছাপিয়ে গেলেন আমু হাজি। 

 

 

 

এটা শেয়ার করতে পারো

...

Loading...