আমাদের সমাজে এই মুহূর্তে ছবি নিয়ে বিভিন্ন রকম এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে। ছবি, পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি তথা ডকুমেন্টারি ছবি নিয়ে বিশেষভাবে ভাবনা চিন্তা করছে আজকের প্রজন্ম। সেই সূত্র ধরেই গড়ে উঠেছে ফিল্ম নিয়ে নানা বিভাগের পড়াশোনা। এখন শুধুমাত্র পরিচালনা বা সম্পাদনা বা চিত্রগ্রহীতারাই শুধু নয়, বিভিন্নরকমভাবে যাতে ফিল্ম কে সমৃদ্ধ করা যায়, তার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। তার পাশাপাশি ছবি দেখে তা বোঝার মত শিক্ষিত দর্শক তৈরী করার দিকেও ঝুঁকছে সব প্রতিষ্ঠানগুলি।
এই ভাবনাকে সামনে রেখেই পুনের ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া- এফটিআইআই চলচ্চিত্র সমালোচনা এবং পর্যালোচনা বিষয়ক একটি নতুন পাঠক্রম চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানের নির্দেশক ভূপেন্দ্র কাইন্থলা এই কোর্সের বিষয়ে জানান, অনেকদিন ধরেই দেশে এই ধরনের পাঠক্রমের দাবি চলচ্চিত্র সমালোচক, পর্যালোচনাকারী, গবেষক, বোদ্ধা এবং ব্লগাররা জানিয়ে আসছিলেন। তাদের কথা ভেবেই বিশেষ করে চলচ্চিত্রে উৎসাহীদের কথা ভেবেই এই পাঠক্রম তৈরী করা হয়েছে। আসলে যে কোনো ব্যক্তি চলচ্চিত্রের পর্যালোচনা করতে পারেনা। একটি ফিল্মের বিষয়ে যথাযথ ধারণা না থাকলে কারোর পক্ষে একাজ করা সম্ভব নয়।
দিল্লীর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাস কমিউনিকেশনের (আইআইএমসি)-র সহযোগিতায় দিল্লিতে ২০ দিনের এই পাঠক্রম শুরু হবে আগামী ২৮শে মে। চলবে আগামী ১৯জুন পর্যন্ত। এফটিআইআই দেশজুড়ে ৩৭টি শহরে চলচ্চিত্রের ওপর ১৩৫ টি এই ধরণের সংক্ষিপ্ত পাঠক্রম চালু করছে। দেশে চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন ক্ষেত্রের জন্য দক্ষ ব্যক্তিত্ব তৈরির এই প্রয়াসের নাম স্কিফট-স্কিলিং ইন্ডিয়া ইন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন। আশা করা হচ্ছে ৫৮০০-রও বেশি পড়ুয়া এই কোর্সগুলিতে অংশগ্রহণ করবেন। এর জন্য বয়সের কোনও উর্দ্ধসীমা নেই। এই কোর্স যোগদানের জন্য দরখাস্ত পাঠানোর শেষ তারিখ ২২শে এপ্রিল ২০১৯। দিল্লির বাইরে থেকে যাঁরা এই কোর্স যোগ দেবেন, তাঁদের মধ্যে নির্বাচিত কয়েকজনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এফটিআইআই থেকে ২০০০ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর কোর্স করেছেন রাজুল শাহ। বর্তমানে প্রযোজক, নির্দেশক শ্রীমতি শাহ এই পাঠক্রমের নির্দেশক।