মমি বললেই মাথায় আসে মিশরের নাম| মিশর দেশের নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা সময়ের নানা ইতিহাস মমির আকারে বাক্সে বন্দী হয়ে| এবারেও এক নতুন ইতিহাস লোকচক্ষুর সামনে তুলে আনলো মিশর দেশ| প্রায় ২০০০ বছরের আগের ইঁদুরের মমি সামনে এনে বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সেই দেশ| জানা গেছে, মিশরের টলেমি সাম্রাজ্যের আমলের প্রায় ৫০টি পশুর মমি উদ্ধার করা হয়েছে মিশরের একটি এলাকা থেকে|
জানা গেছে, টলেমি সাম্রাজ্যের শাসনকালে সেখানে বসবাস করতেন টুটু নামক একজন ব্যক্তি ও তার স্ত্রী| তাদের সমাধিক্ষেত্রও আবিষ্কার করা হয়েছে| ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সোহাগের কাছে একটি জায়গায় এই দম্পতির মমির খোঁজ পাওয়া যায়| সেই মমির আচ্ছাদনে ছিল নানা সুক্ষ্ম কারুকার্য| সেই সময়ের চিত্রকলার সাক্ষী এই মমি| এই টুটু ও তার স্ত্রী-এর মমি উদ্ধারের পরেই হামলা হতে শুরু করে সেই মমি সাম্রাজ্যে| একের পর এক হামলা ঘটতে থাকে সেই মমিগুলির উপর|
সেই মমির মধ্যেই এবার পাওয়া গেছে ইঁদুরের মমিও| এত সুন্দর মমিগুলির মধ্যে ইঁদুর এলো কথা থেকে, এই প্রশ্নটাই মাথায় এসেছিল প্রত্নতত্ববিদদের| তারা জানিয়েছেন, প্রাচীন মিশরের অন্যতম সমৃদ্ধশালী জায়গা ছিল এই সোহাগ| মিশরের নীলনদের উপকূলে অবস্থিত এই শহরের মধ্যে রয়েছে সেই সময়ের একটি সংগ্রহশালাও| আজও সেখানে প্রদর্শিত হয় নানা চিত্রকলা| সেই স্থানে দাড়িয়ে ইঁদুরের মমি উদ্ধার হওয়াতে বেশ চিন্তিত প্রত্নতাত্ত্বিকগণ| তাঁরা জানিয়েছেন, এই দেশে বিড়ালের প্রতি ভালবাসা থাকলেও ইঁদুরকে অশুভ বলে ধরা হত| প্রাচীন মিশরে ইঁদুরকে কুসংস্কারের প্রতীক বলে ধরা হত| কারণ কৃষিকাজের ক্ষতি থেকে শুরু করে ফসল নষ্ট করা সবকিছুর পিছনেই ছিল এই মুষিককুল| আবার মিশরেরই কোনো কোনো জায়গায় এই ইঁদুরকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করা হত| সেই বিশ্বাস থেকেই ইঁদুরের দেহকে মমি করে রাখা হয়েছে কিনা তা এখনোও ভাবাছে গবেষকদের|