পুজোর বাজার বা যে কোনও সময় উৎসবের মরসুমে ভিড় থিকথিকে গড়িয়াহাটে গাড়ি পার্কিং অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো। ফুটপাতের দোকান-বাজার, প্রচন্ড যানজট কাটিয়ে ফ্লাইওভারের নিচে পর্যন্ত পৌঁছতে নাভিশ্বাস দশা। সব কিছু কাটিয়ে যদিও বা পার্কিং- এ পৌঁছান যায় তাহলেও সমস্যা শেষ হয়ে যায় না। পার্কিং লটে আদৌ জায়গা মিলবে কিনা সে নিয়েও কপাল থেকে টেনশনের রেখাটা যেন আর সরতেই চায় না। পার্কিং ফি- নিয়েও ঝামেলার শেষ নেই। এবার সেই অবস্থার কিছুটা সমাধান হতে চলেছে। পুজোর মাসেই চালু হতে চলেছে গড়িয়াহাটে মাল্টি-টিয়ার অটোমেটেড কার পার্কিং ব্যবস্থা।
গড়িয়া হাট ফ্লাইওভারের ঠিক নিচে মাল্টি টিয়ার অটোমেটেড কার পার্কিং জোন তৈরির কাজ সম্পূর্ণ। প্রকল্পটি রূপায়িত করার দায়িত্বে সিমপার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার সংস্থা। এই সপ্তাহেই পরীক্ষা করা হবে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পার্কিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর আগেই এই পার্কিং জোন সাধারণের ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এই বছরের অক্টোবর নাগাদ।
এই প্রজেক্টের ওয়ান সাইট ম্যানেজার জানিয়েছেন, থ্রি-টিয়ার পার্কিং জোন এর কাজ গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে। মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম সব ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হবে। আগামী সপ্তাহে পুরসভাকে হস্তান্তরিত করা হবে প্রকল্প। আগামী শুক্রবার কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পার্কিং বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের পর অনুমোদন ।
সিইএসসি ৮ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। লোডশেডিং বা যে কোনও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে পার্কিং এর কাজ যাতে ব্যাহত না হয় তার জন্য স্ট্যান্ডবাই হিসাবে জেনারেটর ব্যবস্থা থাকবে। কী ধরনের গাড়ি পার্ক করা হবে নিয়ে অবশ্য এখনও কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।
সিমপার্ক সংস্থা সিমপ্লেক্সের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রডন স্ট্রিট এবং নিউমার্কেটে মাটির নিচে স্বয়ংক্রিয় গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজও করেছিল। সেই পার্কিং ব্যবস্থা এই মুহূর্তে বন্ধ থাকলেও পুজোর সময় তা নতুন করে চালু করার ভাবনা শুরু করেছে।
গড়িয়াহাট রোডের মুখে, নতুন গড়ে ওঠা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রচালিত পার্কিং ব্যবস্থায় ৩২ টি গাড়ি একসঙ্গে রাখা যাবে। দুটি সেকশনে ১৬ টি করে। একবারে উপরের ইউনিটে ৬ টি , মাঝে ও একবারে তলায় ৫ টি করে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা।
(ছবি প্রতীকী)