মিষ্টি ছাড়া দুর্গা পুজো ভাবাই যায় না। সারা বছর যে সব মিষ্টি চলে দুর্গা পুজো এলে বদলে যায় বাঙালির মিষ্টি খাওয়ার ধরন। পুজোর মিষ্টি মানেই স্পেশ্যাল কিছু। নারকেল নাড়ু দিয়ে শুরু হয় সেই স্পেশ্যাল লিস্ট আর হয় বোধহয় ফিউশনে। কোন দুর্গা পুজো সেরা সাবেকি না থিম- এই নিয়ে লড়াই চললেও মিষ্টি নিয়ে এরকম কোনও লড়াই নেই মিষ্টিপ্রেমীদের মধ্যে। জিভের তারে মনের স্বাদ মিটলেই হল।
আগেকার দিনে বাড়িতে তৈরী হত দুর্গাপুজো স্পেশ্যাল মিষ্টি। হেঁশেলে প্রতিদিন দুধ জমত পুজোর বেশ আগে থেকেই। তারপর তৈরী হত ক্ষীর আর ছানা দিয়ে নানারকম মিষ্টি। পাথর কিংবা কাঠের ছাঁচে ফেলে দেওয়া হত মনের মতো আকার। এখন সেদিন বদলেছে। ঘরে তৈরী মিষ্টি এখন দুর্লভ। সবটাই রেডিমেট। পুজোর মিষ্টি সবটাই দোকান থেকে কিনে আনা। তবে মিষ্টি মুখের রীতিতে বদল আসেনি একটুও।
ফি পুজোয় শহর যেমন সেজে ওঠে নতুন চমকে, মিষ্টি প্রতিষ্ঠানের ধারাও তেমনই। শারদীয়া উপলক্ষ্যে নানা রকম পুজোর মিষ্টির বাহার মন জিতে নেয় মিষ্টিরসিকদের। তেমন আয়োজনে সেজে উঠেছে বলরাম মল্লিক রাধারমণ মল্লিক
এবছর পুজোয় সেখানে নজর কাড়বে শারদীয়া শুভেচ্ছা সন্দেশ।পুজোর শুরু হোক বা বিজয়া দশমী- মিষ্টিমুখ পর্বে এই সন্দেশে মন ভরবে সকলের। যেন ঠিক একান্নবর্তী পরিবারে মিলেমিশে থাকার গপ্পো। ভিতরে নারকেলের পুর দেওয়া প্রসপুরী শঙ্খ সন্দেশ। মিহিদানা ভরা সন্দেশ কড়া পাকের শঙ্খ সন্দেশ, আম্রপালি সন্দেশ ছাড়াও আছে আগমনী সন্দেশ। মা দুর্গার ঘরে আসাকে উদযাপন করতে তৈরী হয়। বিশ্বকর্মা পুজোর পর থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত।