শিক্ষা অর্জন করা দেশবাসীর মৌলিক অধিকার। তাই শিক্ষা অর্জনের সুযোগ রয়েছে সকলের। দেশের শিক্ষার অর্জনের প্রথম ধাপ অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই শুরু হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা দ্বিতীয় ধাপ। অনেক ছাত্র-ছাত্রীর স্বপ্ন থাকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তরে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য বিদেশে পাড়ি দেওয়ার। কিন্তু অর্থনৈতিক কারণে অনেকেই এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। তবে এই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে কেন্দ্রিক সরকারের শিক্ষামন্ত্রক। ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছেন তারা। শিক্ষামন্ত্রকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট education.gov.in-এ এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।
দেশের ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রক ন্যাশনাল ওভারসিস স্কলারশিপের মতো বেশ কিছু স্কলারশিপ প্রকল্প নিয়ে এসেছে। যেখানে তফসিলি জাতি, ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক, ঐতিহ্যবাহী কারিগর ও দেশের নানা উপজাতির মানুষরা এই স্কলারশিপগুলোর সুবিধা নিতে পারবেন। ছাত্র-ছাত্রীদের মাস্টার্স ডিগ্ৰি ও পিএইচডি কোর্সের জন্য এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পূর্ববতী পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। nosmsje.gov.in-তে আবেদন করতে হবে এই স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য। এছাড়াও আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের তরফে প্রতিবছর একটি স্কলারশিপ দেওয়া হয় ২০ জন এস টি ছাত্র-ছাত্রীদের। এই স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল কোর্স করার সুযোগ দেওয়া হয়।overseas.tribal.gov.in-এ আবেদন করতে স্কলারশিপের জন্য।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সরকার স্কলারশিপের ব্যবস্থা করেছে। এই স্কলারশিপের আবেদন করতে minorityaffairs.gov.in-এ যেতে হবে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে একটি স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে যেখানে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ল্যাবে গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এই স্কলারশিপের জন্য serbonline.in- ওয়েবসাইটে আবেদন করতে হবে।