সময়টা ১০ই এপ্রিল, ১৮৯৬। এথেন্সের পিয়ের ড. কুবেরটিন(আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাতা)ও মিশেল ব্রিয়ালের পরিকল্পনায় ম্যারাথনের বাস্তব রূপায়ণ ঘটে বোস্টন অলিম্পিকে।
কুবেরটিন প্রথম ম্যারাথন ব্রিজ থেকে অলিম্পিক স্টেডিয়াম পর্যন্ত ২৪.৮৫ মাইল ম্যারাথনের সূচনা করেন এবং স্পিরিডন লুইস, গ্রিক ডাকবিভাগের কর্মী প্রথম হন। যদিও এই ম্যারাথনের একটা মর্মস্পর্শী ইতিহাস আছে।
এর আগে যত প্রাচীন খেলা হতো তাতে এতো দীর্ঘ দৌড় হতো না। কিন্তু ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের ১২ সেপ্টেম্বর দিনটি ঐতিহাসিক তাৎপর্যবাহী, কারণ তা শুধু ম্যারাথন নামক এই নতুন দৌড়ের জন্মলগ্নই শুধু নয়, গ্রিকদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম সূচকও বটে। ওই দিন গ্রিকদের কাছে পারসিক সৈন্যদের চরম পরাজয় ঘটে এবং সেই খবর ফিডিফিডিজ(একজন গ্রিক দূত)এথেন্সের ম্যারাথন যুদ্ধ ক্ষেত্র থেকে ৪০ কিলোমিটার বা ২৫মাইল, কোনো স্থানে বিরতি না নিয়ে রাজদরবারে দিতে আসেন এবং যুদ্ধ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত দূত ওই কথা বলে মারা যান। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য এই দৌড় প্রতিযোগিতার দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার স্থির হয় এবং যুদ্ধক্ষেত্রের নামানুসারে 'ম্যারাথন' নাম হয়।
পরবর্তী কিছু অলিম্পিকে ২৫ মাইলের কাছাকাছি ম্যারাথন হলেও ১৯০৮ সালে লন্ডনে এই সীমানা বর্ধিত হয় রানী আলেক্সান্দ্রার অনুরোধে। যার দূরত্ব ২৬.২ মাইল, উইন্ডসর কাসল থেকে দৌড় শুরু হয় এবং শেষ হয় অলিম্পিক স্টেডিয়ামে।
১৯২১ এ এই দূরত্ব সুনির্দিষ্ট হয় ২৬.২ মাইল। বর্তমানে পৃথিবীর সর্বত্র ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর। আগে শুধু পুরুষ প্রতিযোগিরা অংশ নিলেও সবচেয়ে পুরোনো ১৯৭২ এর বোস্টন ম্যারাথনে মহিলা প্রতিযোগীদের অন্তর্ভুক্তি ঘটে। এক কথায় বলা যায়, ৪৯০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারসিকদের এথেন্সে আক্রমণ এবং গ্রিকদের হাতে তাদের ম্যারাথনের যুদ্ধে চরম পরাজয়, খেলার ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ঘটায় এবং জন্ম দেয় ম্যারাথনের ।