তাঁর গানে কখনও মেঘ কখনও বৃষ্টি। আবার গুরুগুরু বাজের শব্দও আছে।
কলেজ ফেস্টের ভরা মাঠে যখন গেয়ে ওঠেন, ‘যাস না রে, মেঘ সরে অন্য কারো আকাশে’ তখন সত্যি সত্যি বুকের মধ্যে জল ঝপঝপ শব্দ। নতুন প্রেম-জোয়ার স্রোতে ছলাৎছল। শীত-গ্রীষ্মকে হারিয়ে শুধুই বর্ষার ডাক।
আবার আলোর নীচে অপূর্ব আলোয় যখন চোখ ধাঁধিয়ে যায় বেণীমাধবের প্রেমিকার, তখন সত্যি সত্যি শ্রোতার বুকে চোরা টান। খাঁ খাঁ শূন্যতা এসে ভর করে মন।
প্রেম থেকে প্রতিবাদ সবেতেই তিনি এক বগগা। লোপামুদ্রা। নব্বই দশকের কলকাতা প্রেমে পড়েছিল উদাত্ত কণ্ঠের গায়িকার। উজান গাঙে তরী ফেলেছিল।
টিপ, শাড়ি আর দাপুটে আবেদন। মঞ্চ পুড়ত বৃষ্টি আর আগুনে। কবিতা শরীর পেত গানে। কী তার মোহিনী মায়া।
সমাজ, বিদ্রোহ, চিৎকার মিলেমিশে গান পাড়ি।
আজও তিনি তেমনি বলিষ্ঠ। রাজনীতি সচেতন। ভীষণ অন্য ধারার এক মানুষ।
তাঁর সুরে বারবার বানভাসী হতে রাজী কলকাতা...