ইনফিনিটি ওয়ার এর শেষটা একটা মার্ভেল ফ্যানের চোখে জল এনে দেয়। ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে এই সুপারহিরোরা আমাদের কল্পনার জগতে অধিকাংশই দখল করে রাখতো। সেই সুপারহিরোরাই যখন শেষ চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছে না তখন সিনেমা হলের সিটটাতে আর বসে থাকা যায় না। যখন স্পাইডারম্যান মিস্টার স্টার্কের গলা জড়িয়ে ধরে বলে যে সে চলে যেতে চায় না, কিন্তু তবুও তার শরীর বাকি সবার মতো মাটিতে মিশে যায়। তখন ঠোঁট বেকিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে এই দামড়া বয়সেও।
আমি সবাইকে আমার মতো মনে করি। তাই বলা যায় 'ইনফিনিটি ওয়ারের' পর প্রত্যেকটা ফ্যানের প্রতিক্রিয়া দেখেই বোঝা যায় কতটা গাঢ় আর কতটা চরম হতে চলেছে 'এভেন্জার এন্ড গেম'।
‘এভেঞ্জার এন্ডগেমের’ প্রথম ট্রেলার আমাদের সামনে আছে। প্রথম ট্রেলার শুরু হয় স্টার্ক -এর একটা বার্তা দিয়ে। সেটা দেখতে দেখতে মনে হয়েছিল যেন স্ব -লিখিত স্বগতোক্তি বলে চলেছে, সে বলে যাচ্ছে তাঁর শেষ কথাগুলো। যে আজ গোটা এভেঞ্জারকে দাঁড় করিয়েছে তাঁর গলাটা কেঁপে যেতে দেখে হয়ত প্রায় সব ফ্যানের হাত কেঁপে উঠেছিল। বুঝতেই পারছিলাম আমরা শেষ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ওনার শেষ কথাটা ভোলা হয়ত প্রায় অসম্ভব-when i driff of i will dream about you .its always you '.
যেই ব্যক্তিটি প্রত্যেকবার পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য নিজের ব্যক্তি জীবনকে ভুলে গিয়ে প্রত্যেকের সামনে দেওয়ালের মত দাঁড়িয়ে থেকেছে, তাকে ভেঙে যেতে দেখে সবার মন ভেঙেছে। যে অতিকায় থ্যানোসের পায়ে পায়ে ধাওয়া করেছে এটা জানা সত্ত্বেও যে সে ইতিমধ্যে চারটে ইনফিনিটি স্টোন আয়ত্ত্ব করে ফেলেছে। সে জীবনের ওপর সমস্ত আশা ছেড়ে দিয়ে মূর্তিটাকে বরন করতে প্রস্তুত। থ্যানোস শুধু জনসংখ্যার অর্ধেকই ধ্বংস করে নি, সে প্রতিটি ব্যক্তির অর্ধেককেই ধ্বংস করেছিলো।
অনুতাপ..
এভেঞ্জারদের মুখে আমরা শুধু অনুতাপ দেখতে পাই, তাঁদের বন্ধুকে না বাঁচাতে পারার অনুতাপ। তাঁরা নিজেদের সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারলো না যেখানে সেটা সবচেয়ে দরকার ছিল।
প্রথম ট্রেলরের উত্তেজনা এখনও যদি মনে থাকে, তাহলে প্রস্তুত থাকা জরুরি কারণ দ্বিতীয় ট্রেলারটা এককথায় অসাধারণ। দ্বিতীয় ট্রেলারে এত আবেগ একসঙ্গে মিশে আছে যে সেটাকে শব্দে বর্ণনা করা মুশকিল।
দ্বিতীয়ভাগের ট্রেলারে নতুন এভেনঞ্জার ক্যাপ্টেন মার্ভেল এর সাথে গোটা এভেনঞ্জার সত্যিই তৈরী শেষ পরিণতির জন্য।