সমৃদ্ধ খাদ্যগুণের কারণে খেজুর অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ফল। দীর্ঘ সমুদ্র যাত্রা বা মরু যাত্রায় বহু বছর আগে থেকেই এই খেজুরকে রসদ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। মধ্য প্রাচ্যে খেজুর গাছ “ট্রি অফ লাইফ" বা জীবন বৃক্ষ নামে পরিচিত। খেজুর উৎপাদনে বিশ্বে সৌদি আরবের অবস্থান তৃতীয়। সমগ্র সৌদি- আরবে ৩৬০ প্রজাতির প্রায় আড়াই কোটি খেজুর গাছ আছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছু খেজুর হল - পাঠান-আল মদিনা, মাসকানি, বার্হী, শাহীবি, খালস, আজওয়া ইত্যাদি।
এখানকার লোকেরা খেজুর অত্যন্ত পছন্দ করে এবং আবহাওয়া ও পরিবেশের সাথে এই খেজুর সাযুজ্য ও বহুগুন সমন্বিত ফল। এখানে আল- কাসিম শহরে আছে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো খেজুর বাগান। নাম-আল-রাজেহী বাগান। সাড়ে ৫ হাজার হেক্টরের এই বাগানটি প্রায় ২ লক্ষ খেজুর গাছ আছে। এখানে প্রায় ৪৫ রকম খেজুরের ফলন হয়। ২০১১ সালে গিনেস বুকে নাম লিখিয়েছে এই বাগান।
পবিত্র রমজান মাসে মক্কা ও মদিনায় ইফতারির খেজুর সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এই বাগান থেকেই সরবরাহ করা হয়। এমনকি এই বাগানের পুরো উৎপাদনই আল্লার উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। বিশ্বে সবচেয়ে বড় সম্পত্তি হিসেবে এই বাগানকে বিবেচনা করা হয়। বাগানের মালিক আরবের শীর্ষ ব্যবসায়ী শেখ বিন আব্দুল আল রাজেহী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইসলামী ব্যাঙ্ক ও আল রাজেহী ব্যাঙ্ক তার মালিকানাধীন। ১৯৯০ সালে এই বাগানে খেজুরের পাশাপাশি গম, বার্লি ও তরমুজ চাষ হতো। কিন্তু ক্রমাগত স্থানীয় ও ব্যবসায়িক চাহিদা বৃদ্ধিতে ১৯৯৩ এ শেখ আল রাজেহীর আদেশে বাগানে খেজুর চাষের পরিমান বহু গুন বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
আশ্চর্যজনক ভাবে এই খেজুরের চাদিহার ও গুণমানের কোনো ঘাটতি হয়নি, বিশ্ববাজারে আজও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।