যে রাজ্যে সত্যজিৎ, ঋত্বিক আর মৃনাল জন্মেছে, সে জায়গা তো চলচ্চিত্রের মক্কা হবেই। আর সেখান যে চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসবে তাও বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখতে দেখতে কেটে গেল অনেকগুলো বছর। ২৭ বছরে পা দিল 'কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'। বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারীর মধ্যেও এই উৎসব বলে যায়, 'দ্য শো মাস্ট গো অন'। আদপে এই উৎসব ঐতিহ্যে ইতিহাসের ধারক। কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব ঘিরে কত মানুষের কত স্মৃতি, কত উন্মাদনা জড়িয়ে রয়েছে। এককালে কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালই ছিল দেশ-বিদেশের সিনেমা দেখার একমাত্র উপায় ছিল।
১৯৯৫ সাল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের পথ চলা শুরু হয়েছিল। সেই প্রথম দিনটা ছিল বহু বছরের অপেক্ষার অবসান। প্রস্তুতিপর্ব শুরু হয়েছিল ১৯৮৩ সালেই। ৯৫-তে প্রথম স্বাধীনভাবে রাজ্যে শুরু হল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সিনেমার উৎসব ঘিরে নন্দন চত্ত্বরে তখন চাঁদের হাট বসত। দেশবিদেশ থেকে নানা চলচ্চিত্র নির্মাতা, কলাকুশলী এসে হাজির হত। আজও তাইই হয়। আজ ইন্ট্যালেকচুয়াল ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এই উৎসব হয়ে উঠেছে পপুলিস্ট কালচারের ধারক।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপিত হয়েছিল কলকাতা ফিল্ম সোসাইটির পথচলার মাধ্যমে, এটাই ভারতের দ্বিতীয় ফিল্ম সোসাইটি। ১৯৪৭ সালের ৫ই অক্টোবর সত্যজিৎ রায়, চিদানন্দ দাশগুপ্ত, আর পি গুপ্ত, বংশী চন্দ্রগুপ্ত ও অন্যান্যরা এই সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯২৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সের্গেই আইজেনস্টাইন পরিচালিত দ্য ব্যাটেলশিপ পোটেমকিন ছবিটি সোসাইটিতে প্রদর্শিত প্রথম চলচ্চিত্র। পরবর্তীকালে এই সোসাইটি দেশের চলচ্চিত্র-বোদ্ধাদের আকর হয়ে ওঠে। কলকাতা ফিল্ম সোসাইটি ভারতের নতুন সিনেমার এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রদূত। ভারতে ফিল্ম সোসাইটি আন্দোলন শুরু হওয়ার সময় থেকেই এই সোসাইটি বিশ্বের নানা প্রান্তের চলচ্চিত্র সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করে তোলার কাজে নিযুক্ত ছিল।
তবে এর আগেও ছিল আরেক উৎসব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই শুরু হয়েছিল সেই উৎসব। 'ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'। ১৯৫২ সালে মুম্বাইতে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর দেশের নানা শহরে ঘুরিয়ে দেখানো হয় সেই সিনেমার আয়োজন। সেই উৎসব কলকাতাতেও এসে পৌঁছেছিল। উৎসবের সাক্ষী ছিলেন সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন। প্রত্যেকের চেতনার জগতেই দাগ কেটেছিল উৎসব। সত্যজিৎ রায় লিখেছিলেন, "চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হবার পর আমার মনে আর কোনও সংশয় থাকে না যে আমি ছবিই তুলব। 'পথের পাঁচালী' হবে আমার প্রথম ছবি। ছবি যদি ভাল না হয় তো মাথা নিচু করে ফিরে যাব কিমারের কাছে। আর যদি উতরে যায় তো একটার পর একটা ছবি করে যাব।" আসলে দেশবিদেশের নানা ধরণের ছবির সাক্ষী হয়ে প্রত্যেকেই চলচ্চিত্রের এক নতুন ভাষা খুঁজে পেয়েছিলেন। প্রেমকাহিনির বাইরে গিয়ে অন্যরকম ছবি দেখার মতো রুচি এবং ধৈর্য বাংলার দর্শকের রয়েছে। শুধু তেমন ছবি নেই!
ঋত্বিক ঘটকও তাঁর 'যুদ্ধের অস্ত্র' হিসাবে সিনেমাকে বেছে নিয়েছিলেন। 'নাগরিক' এবং 'পথের পাঁচালী'র মতো সিনেমা বাংলা সিনেমার ভাষা বদলে দিতে শুরু করল। এর মধ্যেই আরও কয়েকবার 'ভারত আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'-এর আয়োজন হল কলকাতা শহরে। তবে তার জন্য তাকিয়ে থাকতে হত দিল্লির সিদ্ধান্তের দিকে। বাঙালি চলচ্চিত্র নির্মাতারা চাইছিলেন, রাজ্যের স্বাধীন উদ্যোগেই অনুষ্ঠিত হোক একটি উৎসব। ঠিক এই সময়, পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিকল্পনা করল এমন এক চলচ্চিত্র কমপ্লেক্সের, যেখানে এক ছাদের তলায় থাকবে অনেক সিনেমা হল, সেমিনার কক্ষ, চলচ্চিত্র লাইব্রেরি। বছর দুয়েকের মধ্যে সমস্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি হয়ে গেল 'নন্দন'। নামকরণ থেকে শুরু করে ক্যালিগ্রাফি অবধি করে দিলেন সত্যজিৎ, উদ্বোধনও হল তাঁর হাতেই। বাংলার চলচ্চিত্র জগৎ খুঁজে পেল নিজস্ব একটি মানমন্দির। সত্যজিৎ বললেন, "আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র-উৎসবের যেটি সবচেয়ে মূল্যবান কাজ; অর্থাৎ দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের একটি সুযোগ করে দেওয়া; সেটা মনে হয় নানান বিশৃঙ্খলা সত্ত্বেও অটুট থাকবে।"
স্বপ্ন পূরণ হল ১৯৯৫ সালে। দেশবিদেশের ছবির আয়োজন তো থাকলই, বাংলার চলচ্চিত্র নির্মাতারাও খুঁজে পেলেন নিজেদের কথা বলার জায়গা। অবশ্য সমস্ত পরিকল্পনার পিছনে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম ছিল যে মানুষটির, সেই সত্যজিৎ রায় ততদিনে অনেক দূরে পাড়ি দিয়েছেন। তবু তাঁর স্বপ্ন সার্থক রূপ পেয়েছে।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ইতিহাস বলতে গেলে আগে বলতে হবে ১৯৫২ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া'র কথা। কারণ কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হওয়ার অনেক আগেই এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল। আইএসএসআই-এর ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কলকাতা। ১৯৫২ সালের ২৪ জানুয়ারি বোম্বেতে যে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হয়েছিল, তা প্রধানত দিল্লির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। পরবর্তী সময়ে এই উৎসব ভারতের অন্যান্য শহরেও হয়। কলকাতায় মোট তিনবার এই আইএসএসআইর আয়োজন করা হয়, ১৯৮২ সালে 'ফিল্মোৎসব ৮২', ১৯৯০ সালে এবং ১৯৯৪ সালে। এই উৎসব যখন বোম্বের পর মাদ্রাজ আর দিল্লি হয়ে কলকাতায় এল তখন প্রদর্শিত ছবির সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল প্রায় একশো। সেই সময় এই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কেবল এশিয়াতেই প্রথম নয়, এত দেশের এতগুলি ভাষায় এত ছবি একই সময়ে পৃথিবীর কোথাও কখনও দেখানো হয়নি। সেদিক থেকে দেখলে কলকাতায় অনুষ্ঠিত ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র উৎসবেই অভাবনীয় সাড়া পড়ে যায়। অন্যান্য শহরে এই উৎসব সফল হলেও কলকাতায় তা যাবতীয় কাঙ্ক্ষিত মাত্রা ছাড়িয়ে গেছিল।
তবু এরপর ভারতে চলচ্চিত্র উৎসবের ক্ষেত্রে তেমন ধারাবাহিকতা দেখা গেল না। কলকাতা সিনেমা-সংস্কৃতির পীঠস্থান হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন বঞ্চনার কারণে অপেক্ষা করতে হয় ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত। ১৯৭৫ সালে রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাতদিন ব্যাপী 'ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব দ্য আদার সিনেমাঃ ক্যালকাটা সেভেন্টি ফাইভ' নামে এক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আসর বসে। এরপর ১৯৭৮ সালে 'ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ১৯৭৮' নামে কলকাতায় রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগ আর ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের যৌথ উদ্যোগে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজিত হয়। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতির উদ্যোগে ১৯৮০ সালে আবার কলকাতায় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাংলা সিনেমার ষাট বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই উৎসব আয়োজিত হয়। রবীন্দ্রসদনে এই উৎসবের উদ্বোধনের পর ১৯৮৬ সালে 'নন্দন'-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। সমকালীন বাংলা ছবির পাশাপাশি অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার ছবিও প্রদর্শিত হয়। বহু বিশ্ববরেণ্য পরিচালকেরা চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিতে শুরু করে। কলকাতার দর্শক এভাবেই পৃথিবীর সেরা পরিচালকদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছিল।
আইএসএসআই আয়োজিত চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ভাষণে ১৯৯০ সালে নজরুল মঞ্চে সত্যজিৎ রায় বলেছিলেন, "কলকাতার সিনেমাপ্রেমী দর্শকরাই, নানা সমস্যার মধ্যে, চলচ্চিত্র উৎসবের নেপথ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভাল সিনেমা দেখার চাহিদা অনেকদিন ধরেই মানুষের মধ্যে ছিল। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্যালকাটা ফিল্ম সোসাইটি এবং বিদেশি দূতাবাসগুলি যে ছবি দেখানোর আয়োজন করত, তা ভালো ছবি দেখার চাহিদাকে বাড়িয়ে দিয়েছিল অনেক গুণ। ১৯৯৪-এ খুব বড় পরিসরে জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব হয়, সেই উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মাইকেলেঞ্জেলো আন্তোনিওনির উপস্থিতি। এর পরের বছরই শুরু হয়েছিল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। অর্থাৎ, ১৯৯৫ সালে শুরু হল কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। তখনও তা 'আন্তর্জাতিক' তকমা পায়নি।
১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দ্বিতীয় ক্যালকাটা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হয় গোবিন্দ নিহালনি-র 'সংশোধন' প্রদর্শনের মাধ্যমে। ১৮টি দেশের ১৭০টি ছবি উপস্থিত ছিল এই উৎসবে। ট্রিবিউট বিভাগে দেখানো হয়েছিল ক্রিস্তফ কিসলওস্কির চারটি ছবি, টমাস আলিয়ার ছবি, উৎপল দত্তের ১৫টি ছবি, অনিল চট্টোপাধ্যায়ের ১২টি ছবি। এছাড়াও জঁ লুক গোদারের ৪টি ছবি, মারিয়ন হ্যানসেল-এর ৮টি ছবির প্রদর্শনের পাশাপাশি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ছিল আনন্দমঠ, ছিন্নমূল, সেলিম ল্যাংড়ে পে মাত রো, তমস, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম এবং 'বাঘা যতীন' ছবিগুলি। সিনেমাপ্রেমীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে ছিল ১৪টি 'সত্তর-উত্তর জাপানি চলচ্চিত্র'।
১৯৯৭ সালের কলকাতা চলচ্চিত্রও একটি বিশেষ কারণে উল্লেখযোগ্য। সে বছরও স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেখানো হয়েছিল ৮টি ছবি। হোমেজ বিভাগে স্মিতা পাটিল-এর ৫টি ছবি, 'ফিল্মস্ অব কামাল হাসান' পর্যায়ে তিনটি ছবি এবং ট্রিবিউট বিভাগে ফ্রাঁসোয়া ত্রুফো-র এবং উইম ওয়েনডারস-এর যথাক্রমে ৯টি ও ৫টি সিনেমা দেখানো হয়। একই সঙ্গে দেখানো হয় ত্রুফোর উপর নির্মিত তথ্যচিত্র 'স্টোলেন পোর্ট্রেটস'। তবে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ছিল 'ব্ল্যাক আমেরিকান ফিল্ম' নামের ৫টি ছবির প্যাকেজ এবং 'ফোকাস' হিসেবে পূর্বতন চেকোশ্লাভাকিয়ার বেশ কয়েকটি ছবি। সে বছর কলকাতার সিনে-দর্শকদের উন্মাদনা এমন পর্যায়ে পোঁছায় যে এই প্রথম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সারা রাত ধরে ছবি দেখানো হয়।
১৯৯৮ সালে সিনেমা দেখানোর বিপুল প্রয়াসের পাশাপাশি এই বছরেই কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দুটি সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেয় চলচ্চিত্র উৎসব কমিটি গঠনের, এবং কমিটি গঠিত হলে তার চেয়ারম্যান হন গৌতম ঘোষ। অন্যটি, 'ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফিল্ম প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েসন'-এর অনুমোদন পায় কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। চলচ্চিত্র জগতে ১৯৯৮ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর এক অত্যন্ত বেদনার দিন। জাপানি চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরোসাওয়া মারা যান এই দিনে। তাঁর প্রতি কলকাতার শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে এই বছরের চলচ্চিত্র উৎসবটি তাঁকেই উৎসর্গ করা হয়।
১৯৯৯ সাল গুরুত্বপূর্ণ অ্যালফ্রেড হিচকক-এর শতবর্ষ হিসেবে। এই উপলক্ষ্যে প্রদর্শিত হয় হিচকক-এর ১২টি ছবি। পঞ্চম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনায় ইরানের তহমিনেহ মিলানি-র 'দো জান' (টু উইমেন) ছবিটি দেখানো হয়। ফোকাস কান্ট্রি ছিল নেদারল্যান্ড। এছাড়াও এই চলচ্চিত্র উৎসবের উল্লেখযোগ্য বিভাগটি হল স্পেশাল স্ক্রিনিং, যেখানে তিনটি বিষয় ছিল। যথা ফিল্মে গার্সিয়া মার্কেজ, ফ্রান্সের আধুনিক সিনেমা এবং যুদ্ধ-পরবর্তী পূর্ব ইউরোপ। ষষ্ঠ বছর ২০০০ সালে চলচ্চিত্র উৎসবের সূচনা হয় এলিসিয়ো সুবিয়েলার 'দ্য অ্যাডভেঞ্চার অফ গড' ছবিটির প্রদর্শনী দিয়ে। গোদারের সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে তাঁর নয়টি ছবি দেখানো হয়। হোমেজ পর্বে কেরলের পরিচালক জি অরবিন্দনের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। সেন্টিনারি ট্রিবিউট বিভাবে ছবি বিশ্বাস ও লুই বুনুয়েলকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
২০০১ সালে সপ্তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের নাম বদল হয়। নতুন নাম হয় 'কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'। ২০১২ সালে ১৮তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের নাম বদলে হয় 'কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব'।